ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি বুধবার, ২০২৫
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি বুধবার, ২০২৫
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) পুনরায় ব্যাংকগুলো থেকে চাঁদা তুলতে শুরু করেছে, যা ব্যাংক খাতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি, সংগঠনটি প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণভান্ডারে কম্বল দানের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দাবি করে ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথনের জন্য ৪ কোটি টাকা অনুদান নির্ধারণ করে চাঁদা চাওয়া হয়েছে।
চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১১ দিনে বৈধপথে দেশে ৭৩ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে দেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর।
মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ফের খরচ বাড়ছে। এবার এই সেবার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
জনতা ব্যাংকের নিলামের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটি এস আলম গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান—এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রি ও এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলসের প্রায় ৩ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ে এই সম্পত্তি নিলামের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেণ, আগে খেলাপি ঋণের তথ্য লুকানো হতো। এখন লুকিয়ে রাখা সব তথ্য প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি। তবে, পুরো তথ্য সামনে এলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ কোটিও ছাড়াতে পারে।
বিশ্ববাজারে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩৩ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন রেকর্ড ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এটি এক মাসে দেশে আসা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নতুন গতি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরে এলো এ রেকর্ড পরিমাণ আয়।
বিদায়ী বছরের শেষ দিনে আর্থিক হিসাব সুন্দর দেখাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ধার পেয়েছে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক—ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংক। এই অর্থ দিয়ে তারা তাদের চলতি হিসাবের ঘাটতি পূরণ করেছে।
