facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লাভে ধস, আয় কমেছে নয়টিরই!


০২ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার, ১০:১৮  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লাভে ধস, আয় কমেছে নয়টিরই!

গত জুলাই-আগস্ট সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতা ও সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে। ফলে এ সময়ে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অধিকাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবসা আগের বছরের তুলনায় কমেছে। এছাড়া অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতির কারণে বছর জুড়েই কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় মন্দা ছিল।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩টি বহুজাতিক কোম্পানি জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় এ সময়ে নয়টি কোম্পানির ব্যবসা থেকে আয়ের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ আয় কমেছে ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেডের। এরপর সবচেয়ে বেশি ২৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ আয় কমেছে আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের। হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসির আয় কমেছে ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। এছাড়া বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ১৮ শতাংশ, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ, গ্রামীণফোন লিমিটেডের ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ, রবি আজিয়াটা পিএলসির ২ দশমিক ৭২ শতাংশ, রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসির ২ দশমিক ২৬ শতাংশ ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির আয় কমেছে ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তালিকাভুক্ত চার বহুজাতিক কোম্পানির আয় আগের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) লিমিটেডের ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ আয় বেড়েছে।

গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার ৮০ কোটি ১ লাখ টাকা আয় করেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১০৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে নয় মাসে কোম্পানিটির ২৫১ কোটি ১১ লাখ টাকা আয় হয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩০০ কোটি ৫ লাখ টাকা। আয় কমার পাশাপাশি এ সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।

জানতে চাইলে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মাসুদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের আয়ের বড় অংশ আসে হরলিকস থেকে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে ভোক্তারা প্রথমে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পেছনে অর্থ ব্যয় করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এক্ষেত্রে হরলিকস তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে না এটাই প্রত্যাশিত। যার প্রভাব পড়েছে আমাদের ব্যবসায়। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় আমরা পণ্য বিক্রি করতে পারিনি। এ বছরের শেষ প্রান্তিকে আমাদের ব্যবসায়িক পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে প্রত্যাশা করছি। গত বছরে আমরা মূল গ্রুপের কাছ থেকে রয়্যালটি ফির ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছিলাম। এ বছরের জুলাই থেকে এ ছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে কোম্পানিকে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে কোম্পানির নিট মুনাফার ওপর।’

সিরামিকস খাতের তালিকাভুক্ত আরএকে সিরামিকস বাংলাদেশের গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আয় হয়েছে ১৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৭৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৪৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৫৬০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আয় কমে যাওয়ার কারণে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ১১ কোটি ৯ লাখ টাকা নিট লোকসান গুনতে হয়েছে কোম্পানিটিকে।

সিমেন্ট খাতের হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ২৯৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আয় করেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩৬৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ হাজার ৩৮৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আয় কমার পাশাপাশি এ সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফাও কমেছে।

চলতি বছরের প্রথম নয় মাস এবং গত প্রান্তিকে বাটা শুর আয় কমেছে। এর মধ্যে এ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটি ১৫৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আয় করেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৮৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে নয় মাসে কোম্পানিটির ৬৯৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা আয় হয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা। আয় কমার পাশাপাশি এ সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।

লিন্ডে বাংলাদেশের গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৫৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৬৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আয় কমলে হার্ড গুডস ব্যবসা বিক্রি থেকে পাওয়া মূলধনি মুনাফার সুবাদে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ৬২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়েছে কোম্পানিটির।

টেলিযোগাযোগ খাতের তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোন গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৩ হাজার ৯৫৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা আয় করেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ৪ হাজার ১০৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে নয় মাসে কোম্পানিটির ১২ হাজার ১০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১১ হাজার ৮৪৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ বছরের প্রথম নয় মাস এবং গত প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে।

কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) অটো রিসক্যাক জানান, এ প্রান্তিকে শুরুটা হয়েছিল ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে। কিন্তু বেশ কিছুদিনের অস্থিতিশীলতা ও ইন্টারনেট শাটডাউন এবং বিভিন্ন অঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যার কারণে অর্থনীতি ও আমাদের ব্যবসায় বড় প্রভাব পড়েছে।

আরেক কোম্পানি রবি আজিয়াটার গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আয় হয়েছে ২ হাজার ৪৭৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭ হাজার ৪৩১ কোটি ৮ লাখ টাকা। অবশ্য আয় কমলেও এ সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে।

রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, ‘সবদিক থেকে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়টি আমরা অনিশ্চয়তায় কাটিয়েছি। গণ-অভ্যুত্থানের সময় ১১ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং এরপর ভয়াবহ বন্যা অর্থনীতির জন্য ছিল এক বড় আঘাত। বিপুলসংখ্যক গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্ক ছেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই আমাদের রাজস্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ১৩৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আয় করেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে নয় মাসে কোম্পানিটির ৪০২ কোটি ১০ লাখ টাকা আয় হয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪০৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আয় কমার পাশাপাশি এ সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফাও কমেছে।

সিমেন্ট খাতের আরেক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৬২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৬৩৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আর এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২ হাজার ৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ হাজার ১৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আয় কমে যাওয়ার কারণে এ সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।

বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৫৮০ কোটি ৪ লাখ টাকা আয় করেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ৫১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ বছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়ে ছয় মাসে কোম্পানিটির ১ হাজার ২৬৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা আয় হয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ হাজার ২০০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আয় বাড়ার পাশাপাশি এ সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফাও বেড়েছে।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘গত বছর থেকেই আমাদের পণ্যের দাম বাড়াতে হয়েছে, অন্যদিকে পণ্যের চাহিদাও কমেছে। তার ওপর গত জুলাই-আগস্টে দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি না থাকার কারণে ব্যবসায় বিঘ্ন ঘটেছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক বন্যার কারণেও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে বছরের বাকি সময়টাও খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না।’

ম্যারিকো বাংলাদেশের গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৪০৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩৭৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আর এ বছরের এপিল-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৮৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আয় বাড়ার পাশাপাশি এ সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফাও বেড়েছে।

সিঙ্গার বাংলাদেশ গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৩৫৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আয় করেছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ৩৩৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে নয় মাসে কোম্পানিটির ১ হাজার ৫৪৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় হয়েছে, যেখান আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আয় বাড়া সত্ত্বেও ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে এ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির নিট মুনাফা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে এবং সর্বশেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটিকে ১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।

বিএটিবিসির গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৮ হাজার ৫০৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৮ হাজার ১২০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আর এ বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩০ হাজার ৮৪৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২৯ হাজার ৩৪৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অবশ্য আয় বাড়লেও এ সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কিছুটা কমেছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: