১২ মে ২০২৩ শুক্রবার, ১১:০৫ এএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
‘আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ’, এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মত এবারও আজ ১২ মে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক নার্স দিবস’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবারও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করছে। এছাড়াও বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন, সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটসসহ নার্সদের অন্যান্য সংগঠনও দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আন্তর্জাতিক ধাত্রী পরিষদ বা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব নার্সেস (আইসিএন) ১৯৬৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উদযাপন করে আসছে। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও কল্যাণ বিভাগের একজন কর্মকর্তা ডরোথি সাদারল্যান্ড তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ারে কাছে ধাত্রী দিবস ঘোষণা করার প্রস্তাব করেন। তবে তিনি তা অনুমোদন করেননি।
পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে, ১২ মে দিনটিকে নার্স দিবস হিসেবে উদযাপনের জন্য নির্বাচন করা হয়। কারণ, এই দিনে আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মবার্ষিকী। ১৮২০ সালের এই তারিখে আধুনিক নার্সিং পরিষেবার পথপ্রদর্শক ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্ম হয়েছিল। এই দিবস পালনের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয় সেই নারীকে যিনি তার কর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন- নার্সিং একটি পেশা নয়, সেবা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন রেজিস্টার্ড নার্স প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার নিবন্ধিত চিকিৎসকের বিপরীতে নার্স রয়েছে মাত্র ৭৭ হাজার ৮৩৮ জন। দেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসকের অনুপাতে বর্তমানে নার্স থাকার কথা ৪ লাখ ৮ হাজার জন। কিন্তু দুঃখের বিষয় চিকিৎসকদের অনুপাতে নার্সের ঘাটতি ৩ লাখ ৩০ হাজার ১৬২ জন। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্সের সংখ্যা মাত্র ৪২ হাজার ৩৩০ জন। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে ২৩ জন নার্স থাকার কথা। যদিও বাংলাদেশে এই সংখ্যা মাত্র ২ জন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।