২১ মার্চ ২০২৫ শুক্রবার, ০৫:৩৭ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন ICG প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করবে এবং কোনো রাজনৈতিক দলের দাবির কারণে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হবে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে—
সীমিতসংখ্যক সংস্কার হলে: নির্বাচন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন হলে: ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই এবং এটি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।" তবে যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সম্ভাব্য অপরাধের অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC), হেগে মামলা করার বিষয়টি বাতিল করা হয়নি। এটি এখনো আলোচনার টেবিলে রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সরকারের নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা ও স্বাক্ষরের পরিকল্পনাও রয়েছে।
বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লাহর গ্রেপ্তারকে সরকারের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতির ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে দেখছেন।
তাঁরা আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের আরও কার্যকর যোগাযোগ প্রয়োজন। অধ্যাপক ইউনূস জানান, ঢাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণসহায়তা ত্বরান্বিত করতে কাজ করছে এবং আসন্ন জাতিসংঘের বিশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংকটের প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ড. কমফোর্ট ইরো ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অপতথ্য মোকাবিলায় সহায়তার আশ্বাস দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়, তবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের একটি বড় অংশ ভারতীয় গণমাধ্যম থেকেই আসছে।
এ বৈঠকের মাধ্যমে সরকারের নীতিনির্ধারকদের অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে, যেখানে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়টি উঠে এসেছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।