০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার, ১০:৩৮ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দেওয়ার তীব্র অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আ. লীগ ও জাপা দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ তাদের বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যের নামে অনৈক্যের সূচনা করা হয়েছে।’
শনিবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪৮.০৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল আর জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ৭.০৭ শতাংশ ভোট। এই দুই দল মিলে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগে তাদের বাইরে রাখা হয়েছে, যা জাতিগত অবিশ্বাস সৃষ্টি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের নামে মাত্র ১৮টি দলের সঙ্গে সংলাপ করা হয়েছে, যা প্রকৃত ঐক্যের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দেশে এখন এক অবিশ্বাস ও সংঘাতময় পরিবেশ বিরাজ করছে।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত হবে না। যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনুন। একটি সংগঠনের সবাই অপরাধী হতে পারে না।’
জি এম কাদের আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দানবীয় সরকার গঠিত হয়েছিল, যা দেশকে লুটপাটের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। দেশের মুক্তির একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন। যেখানে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের রায়ে একটি গ্রহণযোগ্য সরকার গঠিত হবে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কার দরকার। এজন্য সবার মতামত নিয়ে তা সংসদে পাস করতে হবে। জাতীয় ঐক্যই পারে জাতিকে বৈষম্যমুক্ত সমাজ উপহার দিতে।’
ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারের প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো আগ্রাসন হলে তা প্রতিহত করার শক্তি আমাদের আছে। আমাদের সেনাবাহিনী ও বিজিবি আছে। গলাবাজি করে কিছু হবে না।’
‘আ. লীগ ও জাপাকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যের নামে অনৈক্যের সূচনা হয়েছে’ - জি এম কাদের
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।