facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১০ জানুয়ারি শুক্রবার, ২০২৫

Walton

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন হাজী সেলিম


০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার, ০৪:৩০  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন হাজী সেলিম

রাজধানীর আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে আনার পর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অবস্থায় অঝোরে কান্না করেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিম।

সোমবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে হাজী সেলিমকে হাজির করে পুলিশ। সেখান থেকে পুলিশের নিরাপত্তায় তাকে কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। এ সময় এজলাসে আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে কাঁদতে থাকেন তিনি। শুনানির পুরো সময় পুলিশ তাকে পাহারা দেয়।

লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন লালবাগ থানার উপপরিদর্শক আক্কাস মিয়া। শুনানি শেষে আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান গত ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়।

পুরান ঢাকার লালবাগ ও চকবাজার এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে তৎকালীন ঢাকা–৮ আসন থেকে। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কাছে হেরে যান তিনি।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হাজী সেলিম। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাজী সেলিম।

তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজী সেলিম প্রার্থী হননি। তার বদলে ছেলে সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিমকে ঢাকা-৭ আসন থেকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তিনি নির্বাচিতও হয়েছিলেন।

হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। বিচারিক আদালত ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ওই মামলায় রায় দেন। রায়ে হাজী সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়।

২০২২ সালে ওই মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর কিছুদিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উচ্চ আদালত তাকে জামিন দেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: