২০ ডিসেম্বর ২০১৭ বুধবার, ০২:২৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনিয়োগে কোম্পানি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী ও সম্ভাবনাময় খাতের সঙ্গে অন্যান্য মৌলভিত্তি বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএসইসির সাবেক সদস্য আরিফ খান।
এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে আইডিএলসির উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা সম্ভাবনাময় খাত দেখে সাত বা আটটা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছি। যেমন টেলিযোগাযোগ, ওষুধ ও ব্যাংকিং ও জুতার ব্যবসায় ভালো প্রবৃদ্ধি আছে।
“অর্থাৎ প্রথমে আমরা ভাল খাত বেছে নেই। সেখান থেকে সবচেয়ে ভাল দুটি কোম্পানিকে আমরা খুঁজে বের করি। তারপর আমরা দেখি কার সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থাপনা আছে। তারপর আমরা তাদের পরিকল্পনা জানতে চাই।
“এরপর কেম্পানিটির উপরে কয়েক মাস ধরে গবেষণা করি। আমরা দেখি কোম্পানির শেয়ারের দাম কত। আমরা যদি দেখি কোম্পনি ভাল, কিন্তু শেয়ারের দাম বেশি তাহলে আমরা সেটা কিনি না।”
এর সঙ্গে ভালো ব্যবস্থাপনা, সুশাসন ও আর্থিক প্রতিবেদনের সংখ্যাগুলো বিশ্বাসযোগ্য কিনা তাও বিবেচনা করা হয় বলে জানান তিনি।
“তারপর আমরা দেখি তাদের দাম কি বেশি না কম। যদি বেশি থাকে তাহলে অপেক্ষা করি কখন তা কমবে। হাই মার্কেটে আমরা বিনিয়োগ করি না। আমরা প্রতি সপ্তাহে কিনে প্রতি মাসে বেচা-কেনা করি না; এক থেকে দুই বছর কখনো তিন বছর অপেক্ষা করি।”
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের যেহেতু এই পরিমাণ সক্ষমতা থাকবে না, তাদেরকে ভালো মিউচুয়াল ফান্ড খুঁজে বের করে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন আরিফ খান।
“তবে সব মিউচুয়াল ফান্ড ভালো নয়। বাংলাদেশে কিন্তু দুর্বল মিউচুয়াল ফান্ডও আছে। আমাদের বের করতে হবে কোন মিউচুয়াল ফান্ড সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দেয়।”
এছাড়া বিনিয়োগকারীদের অর্থ অন্য কোথাও সরানোর রেকর্ড নেই, টোটালি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে- এমন কোম্পানি খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন তিনি।
“আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে- ওপেন, ট্রান্সপারেন্ট, কমপিটেন্ট লোক কারা? কাদের মুনাফা আনার রেকর্ড আছে।”
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।