গণমাধ্যমে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যুতে নতুন নীতিমালা

গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১৫ জন সংবাদকর্মী এই কার্ডের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করা হবে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, "একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বিদ্যমান নীতিমালার পর্যালোচনা করছে, যাতে গণমাধ্যমকর্মীরা আরও সহজে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। দ্রুতই নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কার্ড প্রদান করা হবে, তবে এর আগে বিদ্যমান কার্ড কার্যকর থাকবে।"

প্রস্তাবিত পরিবর্তনসমূহ:

• নীতিমালা সংশোধন: ২০২২ সালের নীতিমালার বেশ কিছু ধারা সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।
• নতুন নীতিমালার আওতা: আগের নিয়মে কার্ড পেতে হলে সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরতে হতো, যা এবার বাতিল করা হয়েছে।
• বিদেশযাত্রার অনুমতি: আগে কার্ডধারী সাংবাদিকদের বিদেশে যেতে প্রধান তথ্য কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হতো, যা নতুন নীতিমালায় থাকছে না।
• ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা: লেখালেখিতে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকরা অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
• মফস্বল সাংবাদিক: স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকদের জন্যও কার্ড ইস্যুর সুপারিশ রাখা হয়েছে।
• আপিল ব্যবস্থা: কেউ কার্ড না পেলে আপিলের সুযোগ থাকবে।
• কার্ডের মেয়াদ: স্থায়ী বা অস্থায়ী নয়, সব কার্ড তিন বছরের জন্য বৈধ থাকবে।
• ফৌজদারি মামলা: কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা থাকলে সাথে সাথে কার্ড বাতিল হবে না, বরং অভিযোগ প্রমাণিত হলেই তা বাতিল হবে।
• নিবন্ধিত গণমাধ্যম: সরকার নিবন্ধিত সব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমদ ফয়েজ এবং সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

নতুন নীতিমালার মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাজ আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।