facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৪

Walton

জিলকদ ও জিলহজ পবিত্র হজের মৌসুম


০৮ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার, ১০:২৪  এএম

ধর্ম ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


জিলকদ ও জিলহজ পবিত্র হজের মৌসুম

হজের মৌসুম শুরু হয় জিলকদ মাসে। এ মাস শেষেই আসবে জিলহজ। হিজরি সনের এই শেষ মাসটি হজের মাস। এ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত হাজিরা হজ পালনে নিয়োজিত থাকেন। কিরান ও ইফরাদ হজযাত্রীরা মক্কা মুকাররমায় পৌঁছে ইহরাম অবস্থায় হজের অপেক্ষায় থাকেন। তামাত্তু হজযাত্রী হলে মক্কায় পৌঁছে ওমরাহর আহকাম শেষ করে ইহরামমুক্ত হবেন। এরপর মক্কা মুকাররমা থেকে মিনায় রওনা হওয়ার আগে হজের নিয়তে ইহরাম পরে নেবেন।

৮ জিলহজ : বাদ ফজর রওনা হবেন মক্কা মুকাররমা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মিনায়। ৮ তারিখ জোহর থেকে ৯ তারিখ ফজর পর্যন্ত পরপর এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় পড়া সুন্নত এবং মিনায় রাতযাপন করাও সুন্নত।

৯ জিলহজ : বাদ ফজর মিনা থেকে রওনা হতে হবে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে আরাফার উদ্দেশে। জোহর ও আসর নামাজ আরাফায় পড়তে হবে। আরাফার মসজিদে নামিরায় জামাতে নামাজ পড়লে ইমামের পেছনে এক আজানে দুই ইকামতে পরপর দুই রাকাত করে দুই ওয়াক্তের চার রাকাত ফরজ নামাজ কসর (সুন্নত বাদে) করে পড়বেন। আর তাঁবুতে পড়লে হানাফি মাজহাবের নিয়মে পড়বেন। ৯ জিলহজ সূর্য দুপুরে পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা ফরজ। আরাফা দোয়া কবুলের অন্যতম স্থান। যতটুকু পারা যায় আল্লাহর দরবারে দোয়া-দরুদ পাঠ ও কান্নাকাটি করা চাই। ৯ জিলহজ সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আরাফা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পশ্চিমে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হতে হবে এবং মুজদালিফায় পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে দুই ইকামতে পরপর পড়তে হবে। তারপর মাগরিব ও এশার সুন্নত। মিনায় শয়তানের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য ৪৯টি পাথর সংগ্রহ করতে হবে মুজদালিফা থেকে। মুজদালিফায় অবস্থান ওয়াজিব। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে কিছুটা পশ্চিমে মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হবে।
১০ জিলহজ : ১. মিনায় পৌঁছে বড় শয়তানের প্রতি সাতটি পাথর নিক্ষেপ করা। ২. তামাত্তু বা কিরান হাজি হলে হজের কোরবানি দমে শুকরিয়া (আর্থিক অক্ষম হলে রোজার ব্যবস্থা করা)। ৩. মাথা মুণ্ডানো বা চুল কাটা (এরপর ইহরামমুক্ত হওয়া)। ৪. ১০ থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে মক্কা মুকাররমা গিয়ে (হজের ফরজ তথা রুকন) তাওয়াফে জিয়ারত করা।

১১ জিলহজ : সূর্য দুপুরে পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়লে প্রথমে ছোট তারপর মেজ এরপর বড় শয়তানের প্রতি সাতটি করে পরপর ২১টি পাথর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। ১০ ও ১১ জিলহজ দিবাগত রাত মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। শয়তানের প্রতি পাথর নিক্ষেপের সময় শুধু ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বললেই চলবে।

১২ জিলহজ : সূর্য দুপুরে পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়লে ১১ জিলহজের নিয়মে তিন শয়তানের প্রতি ২১টি পাথর নিক্ষেপ করে মক্কা মুকাররমার উদ্দেশে সূর্যাস্তের আগে মিনার সীমানা ত্যাগ করা। ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে ১৩ জিলহজ ১১ ও ১২ জিলহজের মতো তিন শয়তানের প্রতি ২১টি কংকর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করা সুন্নত। কিন্তু ১২ জিলহজ মিনা ত্যাগ করা প্রচলন হয়ে গেছে। আর মুয়াল্লিমরাও ১২ তারিখ দুপুরে মিনায় তাদের ব্যবস্থাপনাও গোটাতে শুরু করেন। অতএব, হজ কার্যক্রমে ১৩ তারিখের কথা তেমন আসে না।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখেরও বেশি হাজি হজ পালন করছেন। মহান আল্লাহ তাঁর মেহমানদের সুস্থভাবে হজ পালনের তৌফিক দান করুন।

লেখক : আবদুর রশিদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: