১৫ জুলাই ২০২৩ শনিবার, ০৫:০৭ পিএম
বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার বিজনেস24.কম
টিসিবির কার্ডের নিয়মিত পণ্যগুলোর পাশাপাশি এবার যোগ হলো চাল। খোলা বাজারে বিক্রি কার্যক্রম ওএমএসের জন্য বরাদ্দ করা চাল থেকে পাঁচ কেজি করে দেওয়া হবে এই কার্ডের উপকারভোগীদের। প্রতি কেজির দাম নেওয়া হবে ৩০ টাকা।
আগামীকাল রোববার (১৬ জুলাই) উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নতুন এই কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। শনিবার (১৫ জুলাই) টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনির পাশাপাশি টিসিবির পণ্য তালিকায় প্রতিকেজি ৩০ টাকা দরের ৫ কেজি করে চাল থাকবে।
চলতি মাসে মসুর ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা করে কমে ৬০ টাকা করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। সবমিলিয়ে একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী টিসিবির গ্রাহক জুলাই মাসে ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ৭০ টাকা কেজি ধরে এক কেজি চিনি এবং ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
চাল যুক্ত হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষদের বাজার খরচ আরও কিছুটা কমবে। টিসিবির হিসাবে এই মুহূর্তে রাজধানীতে মোটা চালের দাম ৪৮ টাকার নিচে নেই। মাঝারি চালের দাম কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আর সরু চালের দাম ৬০ থেকে ৭৫ টাকা।
টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ধরনের চাল বিক্রি করবে, সেটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি। নিত্যপণ্যের দরের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ২০২২ সালের ২০ মার্চ স্বল্প আয়ের মানুষদের মধ্যে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে টিসিবি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পাওয়া ৩৮ লাখ ৫০ হাজার সুবিধাভোগীর সবাইকেই দেওয়া হয় এই কার্ড। এর সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয় ৬১ লাখ ৫০ হাজার পরিবার।
সব মিলিয়ে এক কোটি পরিবার এখন ফ্যামিলি কার্ডের আওতায়। ফ্যামিলি কারড্ সেবা উদ্বোধনের দুই দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এক কোটি কার্ড মানে এতে অন্তত প্রতি পরিবারে ৫ জন করে যোগ করলে পাঁচ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এ সুযোগ পাবে।” সরকারের বিবেচনায় নিম্ন আয়ের প্রায় প্রতিটি পরিবারই এই সুবিধা পাচ্ছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।