facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

তারাবি নামাজের অফুরন্ত সওয়াব


০৮ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার, ১০:৪২  এএম

ধর্ম ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


তারাবি নামাজের অফুরন্ত সওয়াব

রমজান ইবাদতের মাস, অফুরন্ত সাওয়াব অর্জনের মাস; বিশেষভাবে আল্লাহ নৈকট্য অর্জন করার মাস। বান্দা যেন সহজে নৈকট্য অর্জন করতে পারে সেজন্যে রমজান মাসে দিনে রোজা রাখাকে আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন। রাতে এশা’র নামাজের পর বিতরের নামাজের আগে সুন্নতে মুয়াক্কাদা হিসেবে তারাবির নামাজের বিধান দিয়েছেন।

তারাবি একটি সুন্নত বা নফল নামাজ। আভিধানিকভাবে তারাবি-র অর্থ বিশ্রাম নেওয়া ও প্রশান্তি লাভ করা। এটি ‘তারবিহাহ’ শব্দের বহুবচন।
পরিভাষিকভাবে রমাজান মাসে এশার নামাজের পর বিতরের পূর্বে আদায়কৃত সুন্নাত নামাজ তারাবি নামে পরিচিত। (সিয়াম ও যাকাতের বিধি বিধান)

চার রাকাত আদায়ের পর বিরতির মাধ্যমে যে বিশ্রাম নেওয়া হয় তাকে ‘তারাবিহ’ বলে। তারাবির নামাজের দ্বারা মুমিনের মনে প্রশান্তি আসে বলেই এর নাম তারাবি বা প্রশান্তির নামাজ।

হাদিস শরিফে তারাবির অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে-

১. হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূল সা. রমজান মাসে রাতে নফল নামাজ পড়ার প্রতি উৎসাহ দিতেন। রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে নফল (তারাবি) নামাজ পড়বে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (বুখারি শরীফ হাদিস- ২০০৯)

এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় হযরত মোহাম্মদ (সা.) রমজানের রাতে নফল তথা তারাবির নামাজ নিজেও পড়তেন এবং সাহাবাদেরও তা আদায়ে উৎসাহিত করতেন।

২. হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের রোজা রাখা তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। আর আমি তোমাদের জন্য রমজান মাসব্যাপী আল্লাহর এবাদতে দাঁড়ানো সুন্নাতরূপে চালু করেছি। কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান ও সওয়াবের আশা নিয়ে এ মাসের রোজা রাখবে ও নফল (তারাবির) নামাজ পড়বে, সে তার জন্মদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে। (নাসাঈ, হাদিস: ২২১২। মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৬৬০।)

এ দুটি হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করার দ্বারা সগিরা গোনাহ ও আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

তারাবির নামাজের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য কোরআন তিলাওয়াত করা ও শোনা। রমজান মাসে তারাবিতে অন্তত এক খতম কোরআন মাজিদ পড়া বা শোনা সুন্নত। তাছাড়া দোয়া কবুলের বিশেষ কিছু সময় রয়েছে; যেমন কদরের রাত্রি, ফরজ নামাজের পর। একইভাবে কোরআন-কারিম খতম করার পরও দোয়া কবুল হয়।

হাদিসে এসেছে হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রা.) হতে বর্ণিত, ‘রাসূলে করিম (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ফরজ নামাজ পড়লো, তার দোয়া কবুল হয়। আর যে ব্যক্তি কোরআন খতম করলো তার দোয়াও কবুল হবে।’ (আল-মুজামুল কাবীর, হাদিস: ৬৪৭)

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: