২৮ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ১০:২০ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের দ্বিতীয়ার্ধের রিটার্ন ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের গ্রিন সুকুক আল ইসতিসনার ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) তৃতীয় বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (২৩ জুন ২০২৪ থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২৪) বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে রিটার্নের সুপারিশ করেছে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ ডিসেম্বর।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে তৃতীয় বছরের প্রথমার্ধে (২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ২২ জুন ২০২৪)বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে রিটার্নের সুপারিশ করেছে। দ্বিতীয় বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয়ার্ধে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে রিটার্নের সুপারিশ করেছিল করপোরেট বন্ডটির ট্রাস্টি। সুকুকটির অভিহিত মূল্য ১০০ টাকার ওপর রিটার্ন নির্ধারণ করা হয়।
পাঁচ বছর মেয়াদি সুকুকটির রিটার্ন ছয় মাস অন্তর দেয়া হয়। এক্ষেত্রে রিটার্ন নিধারণ করা হয় ৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মুনাফা মার্জিন যোগ করে। ২০২২ সালে বেক্সিমকো লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত লভ্যাংশ ও ভিত্তিমূল্যের ব্যবধানের ১০ শতাংশ মার্জিন হিসাবে নির্ধারণ করা হয়। যদি লভ্যাংশের হার ভিত্তিমূল্যের সমান বা কম হয় সেক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্যের হিসাবে রিটার্ন দেয়া হয়। আর লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৭৯তম কমিশন সভায় বেক্সিমকো লিমিটেডের সুকুকটি অনুমোদন করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর পরিকল্পনায় অনুমোদন দেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
সংস্থাটি জানায়, বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল ইসতিসনা শরিয়াহভিত্তিক বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বেক্সিমকো লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়া বেক্সিমকোর বস্ত্র খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যবহার করা হবে। বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক ট্রাস্ট নামে স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের (এসপিভি) মাধ্যমে এ সুকুক ইস্যু করা হয়।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো ম্যাকসন্স স্পিনিং
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৬৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৯৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২ টাকা ২৯ পয়সা।
আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি,২০২৫ তারিখ কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।
আইপিওর অর্থ নয়ছয়, কাট্টালি টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) উত্তোলিত অর্থ অপব্যবহার ও ‘নয়ছয়’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ইতোমধ্যে বিএসইসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সিআইডি। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বিএসইসির উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেন্ত কমিশন গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের আইপিও অর্থ ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ বরাবর প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অতএব, এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।
কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু, দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থ হয়। কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খরচ বহন করার জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে তহবিল ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু, ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাত্র ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে।
কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতা জানতে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত গঠন করে বিএসইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান।
জানা গেছে, কাট্টালি টেক্সটাইল পুঁজিবাজারের অন্যতম আলোচিত কোম্পানি। আইপিও তহবিল উত্তোলনের বিষয়টি বেশ বিতর্কিত ছিল। কিছু বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সুবিধা ব্যবহার না করে কেবল চট্টগ্রামে এর কারখানা ভবন থেকে ভাড়া আদায়ের ওপর নির্ভর করে চলছে। পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ে আইপিও তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি সময়মতো তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রত্যাশিত রিটার্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কোম্পানিটির আর্থিক বিবরণীসহ সার্বিক ব্যবসা কার্যক্রম যাচাই করে দেখেছে বিএসইসির তদন্ত কমিটি। সেখানে কোম্পানিটির আইপিওর অর্থ নয়ছয় করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতার জন্য ২০২০ সালের জুলাই মাসে বিএসইসি কাট্টালি টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১ কোটি টাকা জরিমানা করে এবং স্বতন্ত্র ও মনোনীত পরিচালক ব্যতীত অন্য পরিচালকদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এবার সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএসইসি।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ০.২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.০২৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। তবে, ঘোষিত লভ্যাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের দেওয়া হবে না। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত ২১ নভেম্বর হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ অক্টোবর। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.৮৪) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৩২) টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫.০২ টাকা।
কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড বিভিন্ন ধরনের পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দেওয়ার নাম-গন্ধও নেই। ২০২১ সালের পর ২০২৪ সালে কোম্পানিটি নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই, এ কোম্পানিকে ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৫৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৬ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ১১ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার ২০০টি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির উদ্যেক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০.৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২১.৭৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ‘নয়ছয়’ করার অভিযোগ ছিল। বিএসইসির তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে তা প্রমাণ হয়েছে। তাই, মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী সিআইডিকে এ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির মিডিয়া উইংয়ের প্রধান (বিশেষ পুলিশ সুপার) আজাদ রহমান বলেন, আমরা এখনো এ ধরনের কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এপেক্স ফুটওয়্যারের লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এজিএমটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কোম্পানির অন্যান্য আলোচ্যসূচীর পাশাপাশি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ৩৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডাদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদিত হয়।
সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও অন্যান্য পরিচালকসহ । ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের লোকসান কমেছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই,২৪-সেপ্টেম্বর,২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা।
একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭২ টাকা ৯৯ পয়সা।
পর্ষদ সভার তারিখ জানালো বিডি থাই ফুড
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি থাই ফুড লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচিত সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
ওয়ালটনের ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক প্রায় সোয়া ১ কোটি শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক এস এম রেজাউল আলম ১ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে তার স্ত্রী ফাহিমা হোসনাকে ৬০ লাখ ৬০ হাজার এবং মেয়ে রোশমী রুহিকে সমপরিমাণ শেয়ার উপহার হিসেবে প্রদান করবেন।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষিত শেয়ার হস্তান্তর করবেন তিনি।
ফাহিমা হোসনা এবং রোশমী রুহি উভয়ই কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারী।
আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রদানের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনতে বিনিয়োগের জন্য সরকারি সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই অনুমোদন দিয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। আজ (২৭ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিঠি ইস্যু হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রদানে সভরেন গ্যারান্টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব বরাবর চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকেও এ চিঠি পাঠানো হয়।
গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) প্রস্তাবিত ঋণ পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এবং উচ্চহার সুদে গ্রহণ করা তহবিল পরিশোধের মাধ্যমে নিজস্ব আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ করবে। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর অনুকূলে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ এবং ঋণের ওপর অর্জিত বা আরোপিত সুদ অথবা এর (আসল ও সুদ) কোনো অংশ আইসিবি পরিশোধে অসমর্থ হলে সরকার যথানিয়মে তা পরিশোধ করবে।
তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সরকারকে প্রদেয় মুনাফা থেকে অপরিশোধিত বা বকেয়া ঋণ বা ঋণের ওপর ধার্য সুদ সমন্বয় করা যাবে না। এ গ্যারান্টির মেয়াদ ইস্যুর তারিখ থেকে ১৮ মাসের জন্য বলবৎ থাকবে।
মনোস্পুল পেপারের ২০ লাখ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের এক উদ্যোক্তা পরিচালক ২০ লাখের বেশি শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন ২০ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। এসবের মধ্যে তার স্ত্রী দিলারা মোস্তফাকে ১০ লাখ ২০ হাজার এবং ছেলে মোস্তফা আজাদকেও সমপরিমাণ শেয়ার উপহার হিসেবে প্রধান করবেন।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষিত শেয়ার হস্তান্তর করবেন তিনি।
দিলারা মোস্তফা এবং মোস্তফা আজাদ উভয়ই কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারী।
এমডি, সিওও এবং সিটিও নিয়োগ দেবে ডিএসই
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) নিয়োগ দিবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিএসই থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ গত ৩ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মমিনুল ইসলাম (চেয়ারম্যান)৷ দায়িত্ব গ্রহণের পরই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দীর্ঘদিন শূন্য থাকা শীর্ষস্থানীয় তিনটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তারই অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) নিয়োগের জন্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
প্রতিটা পদের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং ৪ ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় ডিএসইর চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সাথে আগ্রহী প্রার্থীদের ডিএসই সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।