২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার, ১১:০৫ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
দুর্বল ৬ ব্যাংককে সবল করতে গিয়ে জটিল চ্যালেঞ্জে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নোট ছাপানো ও গ্যারান্টিতে ঋণ সহায়তা দিলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং ব্যাংকগুলো আরও সহায়তা দাবি করছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য নতুন চাপ তৈরি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এসব ব্যাংক কোনোভাবেই আমানত সংগ্রহ বাড়াতে পারছে না। গত তিন মাসে ব্যাংকগুলোর তারল্য ৯৮% পর্যন্ত কমে গেছে। ২০২৩ সালের জুনে যেখানে আমানতের স্থিতি ছিল ৪৪ হাজার ৩১ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে তা নেমে এসেছে ৪৩ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকায়।
শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালে লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোতেই খেলাপি ঋণ বাড়ছে। লুট হওয়া অর্থের বড় অংশ বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ায় তা আদায় সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ঋণগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে।
আইএমএফের চাপ আরও বাড়ছে। তারা খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা কঠোর করার পাশাপাশি তা দ্রুত কমানোর তাগিদ দিচ্ছে। প্রচলিত সংজ্ঞায় দেশের খেলাপি ঋণ ইতোমধ্যে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের নতুন সংজ্ঞা কার্যকর হলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাবই সংকটের মূল কারণ বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে গ্রাহকদের আস্থা ফিরে আসবে এবং সংকট মোকাবিলা সহজ হবে।
যদিও ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে, তবুও বৈদেশিক বাণিজ্যে কিছু উন্নতি দেখা যাচ্ছে। রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স এবং আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে উচ্চমূল্যে ডলার কেনার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়া তদারকির মুখোমুখি হচ্ছে অনেক ব্যাংক, এমনকি সবল ব্যাংকগুলোরও একটি অংশ।
এই পরিস্থিতিতে দুর্বল ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন ও তারল্য সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল গ্রহণ করা ছাড়া বিকল্প নেই।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।