facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৬ অক্টোবর বুধবার, ২০২৪

Walton

দেশের উইকেট নিয়ে তাসকিনের অসন্তোষ


১০ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ১১:৪০  এএম

স্পোর্টস ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


দেশের উইকেট নিয়ে তাসকিনের অসন্তোষ

‘ওদেরকে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে মুখস্থ শট মারতে দেখা যায় মার্জিন একটু এদিক-ওদিক হলে, এটা আমদের হোমে শুয়ে-বসে মারতে গেলে মুখে লাগতে পারে’- তাসকিন আহমেদের এই আফসোস ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর।

দিল্লির রানপ্রসবা উইকেট ভারত ২২১ রান করে। বাংলাদেশ থামে মাত্র ১৩৫ রানে। টি-টোয়েন্টিতে যা দেশটির বিপক্ষে সবচেয়ে বড় হার। প্রতিবারই এমন হারের পর আরও উন্নতি করার গল্প শোনা যায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের পেসার তাসকিনের কাছে প্রশ্ন ছুটে যায়, এমন গল্প আর কত? কবে হবে উন্নতি?

তাসকিন রাখডাক না রেখে হাতে দিয়েছেন সমস্যার ‍মূলে। ভারত কোন কন্ডিশনে আর কোন পরিবেশে বেড়ে ওঠে সেই উদাহরণ টেনে জানিয়েছেন, দেশের কন্ডিশন ঠিক করার আকুতি। বিশেষ করে উইকেটের উদাহরণ দিতে গিয়ে বারবার যেটি বলেছেন তার অর্থ হলো, বাংলাদেশের উইকেট মর্ডান ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না।

তাসকিনের ভাষ্য, ‘১৮০-২০০ কিন্তু ওদের নিয়মিত রান। যেটা হয়তো আমাদের জন্য ১৩০-৪০, হোমে। এই অভ্যাসটা আমাদের খুবি-ই কম, যেটা বাস্তবতা। আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের হোম কন্ডিশন আরও উন্নত হবে। আমাদের আরও বড় রান চেজ করার, ডিফেন্ড করার ক্ষমতা হবে।’

সঙ্গে তাসকিন দাবি রাখলেন বিদেশি বিভিন্ন লিগে খেলার সুযোগ দেওয়ার, ‘একই সময়ে আমরা যদি অবসর সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে পারি আমাদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা হবে। আমাদের ঘরোয়া লিগের উইকেট আর কাঠামো যত উন্নত হবে আমাদের তত ভালো হবে।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানে পাওয়ার হিটিং। এখানে যার যত দক্ষতা তার তত খ্যাতি। ছোট একটি পরিসংখ্যান দেওয়া যায়। ভারত যেখানে এই ম্যাচে ছক্কা হাঁকিয়েছে ১৫টি, বাংলাদেশ সেখানে ৪টির বেশি পারেনি। এই ছক্কা হাঁকানোর যে দক্ষতা, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কমতি কেন? পেশি শক্তি নেই নাকি টেকনিকে সমস্যা?

এখানেও তাসকিন দেশের কন্ডিশন আর ক্রিকেটারদের বেড়ে ওঠার ধরণ নিয়ে কথা বলেছেন, ‘সবই প্রয়োজন। পাওয়ার, টেকনিক, অ্যাবিলিটি, অ্যাডাপটেশন। ওদেরকে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে মুখস্থ শট মারতে দেখা যায় মার্জিন একটু এদিক ওদিক হলে, এটা আমদের হোমে শুয়ে বসে মারতে গেলে মুখে লাগতে পারে। এই যে অভ্যাসটা ওদের গ্রো হয়েছে, ছোট থেকে ভালো উইকেটে ভালো কন্ডিশনে খেলার, এটাই ওদের সবচেয়ে বড় স্ট্র্যাটেজি।’

হোম অব ক্রিকেট, মিরপুরের উইকেট কেমন সবারই জানা। সাকিব আল হাসান একবার বলেছিলেন, এখানে যে কোনো ব্যাটারের ক্যারিয়ারের শেষ হয়ে যেতে পারে।

মিরপুরের কিউরেটর হিসেবে কাজ করছেন গামিনি ডি সিলভা। উইকেট নিয়ে বছরের পর বছর ক্রিকেটাররা সমালোচনা করলেও শ্রীলঙ্কান এই কিউরেটর বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের ক্রিকেটের অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। সরকার পতনের পর ক্রিকেট বোর্ডেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে।

গামিনির কি বিদায় চান তাসকিন? দিল্লির সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এই প্রশ্নের উত্তর তাসকিন সোজা ব্যাটে দিয়েছেন,‘হ্যাঁ।’ পরে যোগ করলেন, ‘হতেই পারে। এটা যদিও বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমরাতো বোর্ডকে জানিয়েছি, বোর্ড এটা নিয়ে চিন্তা করছে। বোর্ড সহযোগিতা করবে কন্ডিশন ভালো করার জন্য। বোর্ড কিভাবে করে দেবে এটা বোর্ডের ব্যাপার।’

সাবেক ক্রিকেটার, অধিনায়ক ফারুক আহমেদ বোর্ডের দায়িত্বে এসেছেন। ক্রিকেটারদের আকুতি তিনি কি শুনতে পারবেন? মিরপুরের উইকেট কি গামিনির হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন!

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: