০৮ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার, ০৬:০৪ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
ষষ্ঠ জনশুমারি অনুযায়ী দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বর্তমানে সিম ব্যবহার হচ্ছে ১৯ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ, একজন একাধিক সিম ব্যবহার করছেন। অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এ তথ্য পেয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব। সংগঠনটির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে সিমের গ্রাহক ১৯ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার। সিম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৭৪ লাখ।
আর মোট জনসংখ্যার ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ফোরজির আওতাভুক্ত। এ ছাড়া বর্তমানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ব্যবহার করছে ২১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক। তাছাড়া মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ মোবাইল বাজার বাংলাদেশ।
এদিকে, দেশের জাতীয় জিডিপিতে টেলিকম খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ শতাংশ অবদান রাখছে। নানাভাবে নিজেদের মোট আয়ের ৫১ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স দেয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো।
প্রতি ১০০ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলোকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দিতে হয় ৩৯ টাকা, বিটিআরসিকে দিতে হয় ১৫ টাকা, ইকোসিস্টেমের জন্য দিতে হয় ১৮ টাকা এবং পরিচালন খরচ রয়েছে ২৬ টাকা। সেক্ষেত্রে কোম্পানিভেদে এ ব্যয় ৮৪ থেকে ১০৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
অ্যামটবের মহাসচবি লে. কর্নেল মোহম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেন, আমরা মনে করি, সিম বিক্রি থেকে সম্পূর্ণ ট্যাক্স ছাড় দেয়া উচিত। সিম ও করপোরেট কর প্রত্যাহার করলে স্মার্টফোন ও ডাটা সহজলভ্য হবে। এতে জিডিপিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে টেলিকম খাত।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কর কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হলে ইকোসিস্টেমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিয়ে বসতে হবে। আলোচনার সব কথা যেমন উড়িয়ে দেয়া যাবে না, আবার সব কথার সঙ্গে একমত নই আমরা। তবে রি-ফর্ম (পুনর্নির্ধারণ) করতে হবে। টেলিকম খাতের টোটাল সিস্টেম রিভিউ করে আরও সিমপ্লিফাই (সহজ) করতে হবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।