facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ মার্চ বুধবার, ২০২৫

Walton

নেপালী নারীর সঙ্গে পরকীয়ার পর হত্যা করেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা


২৯ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার, ১২:১৬  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


নেপালী নারীর সঙ্গে পরকীয়ার পর হত্যা করেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা

ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে দেশটির সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নেপালি এক নারীকে হত্যার অভিযোগে ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে।

দেরাদুনের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৮ নভেম্বর সোমবার সিরওয়াল গড় এলাকায় সন্দেহজনক অবস্থায় এক নারীর লাশ পাওয়া। এ হত্যাকাণ্ডের সমাধান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার সঙ্গে নেপালি ওই নারীর পশ্চিমবঙ্গের এক ড্যান্সবারে দেখা হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী নেপালি এবং শিলিগুড়িতে থাকতেন। অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার নাম রামেন্দু উপাধ্যায়। তিনি ক্লিমেন্ট টাউন সেনানিবাস এলাকায় নিযুক্ত ছিলেন। ভুক্তভোগী নারী শ্রেয়া শর্মার (৩০) সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। শ্রেয়া শর্মা রামেন্দুকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে তিনি তাকে হত্যা করেছেন।

রামেন্দুকে পণ্ডিতওয়ারির প্রেম নগরে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, শিলিগুড়িতে ড্যান্সবারে রামেন্দুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর শ্রেয়ার সঙ্গে এ সেনাকর্মকর্তার তিন বছরের সম্পর্ক ছিল। দেরাদুনে বদলি হওয়ার পর সেখানে শ্রেয়াকে নিয়ে আসেন রামেন্দু। সেখানেই তাকে ভাড়া ফ্ল্যাটে তুলেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব স্বীকার করেছে রামেন্দু।

গত শনিবার রাতে রামেন্দু এবং শ্রেয়া দুইজনে রাজপুর রোডে এক ক্লাবে মদ পান করেন। এরপর রামেন্দু শ্রেয়াকে লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং তাতে তিনি রাজি হন।

রাত আনুমানিক দেড়টায় তারা থানো রোডে পৌঁছায়।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেখানে গাড়ি পার্ক করে রামেন্দু হাতুড়ি দিয়ে শ্রেয়ার মাথায় অনবরত আঘাত করতে থাকেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর সেখানে তার লাশ ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

রামেন্দু বিবাহিত ছিলেন এবং শ্রেয়াও তাকে বিয়ের জন্য অনেক চাপ দিচ্ছিলেন বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

বিশেষ প্রতিবেদন -এর সর্বশেষ