০১ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার, ১১:৩৫ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
এক চিঠিতে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করে এক নারী লেখেন,
"হে মহান আল্লাহ, আমি একজন সৌদিয়ানকে ভালোবাসি। তুমি তাকে আমার জীবনসঙ্গী করো। যেন তাকে বিবাহ করতে পারি (আমিন)। আমি যেন তোমার পবিত্র মাটিতে মৃত্যু বরণ করি।"
চিঠিতে তার পড়ালেখা, পরিবারের শান্তি এবং হালাল রিজিকের প্রার্থনাও স্পষ্ট। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তার সৌদি নাগরিকের সাথে জীবনের স্বপ্ন বুননের আবেদন।
আরেক চিঠিতে লেখা ছিল এক নারীর হাস্যরসাত্মক প্রার্থনা। তিনি লিখেছেন,
"আল্লাহ তুমি আমাকে সারাজীবনের জন্য চিকন বানাও। আমার পাতিবাবুর সাথে যেন আমৃত্যু একসাথে থাকতে পারি। জান্নাতেও যেন হুর না পায়।"
তিনি ঠাকুমার ঝুলির জাদুর পুকুরে ডুব দিয়ে সুন্দর হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি তার মুখের দাগ মুছে, চুল ঘন এবং কম বয়সী লাগার আবেদন করেছেন।
এক ভগ্নহৃদয় প্রেমিকের চিঠি কেবল ভালোবাসার স্মৃতিকে ধরে রাখার প্রতিশ্রুতিতে শেষ হয়নি। প্রিয় খাদিজার প্রতি তার অনুরাগ ও বেদনা স্পষ্ট।
"তুমি নেই, তবুও তোমার স্মৃতি নিয়ে বাঁচব। তোমার দেওয়া ক্ষত ভুলব না, তবে তোমাকে অভিশাপ দেব না। আশা রাখি, একদিন তুমি আমার হবে।"
১১টি দানবাক্স থেকে এবার রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ছিল স্বর্ণালংকার এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিশাল ভাণ্ডার। পাগলা মসজিদের দানের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
দানবাক্সে জমা হওয়া চিঠিগুলো কেবল মজার নয়, এতে মানুষের অন্তরের গভীর আকুতি আর আল্লাহর প্রতি তাদের নির্ভরশীলতাও ফুটে ওঠে। পাগলা মসজিদের দানবাক্স যেন মানুষের আশা, হতাশা ও বিশ্বাসের এক অনন্য প্রাঙ্গণ।
এই ঘটনাগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল, আর মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।