২৬ মার্চ ২০২৫ বুধবার, ০৭:১৪ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
বহুজাতিক ও বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সরাসরি তালিকাভুক্তির সুপারিশ
বর্তমান আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র সরকারি কোম্পানিগুলোই শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত হতে পারে। তবে শেয়ারবাজার সংস্কার সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এই নীতিতে পরিবর্তন এনে বহুজাতিক ও বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও সরাসরি তালিকাভুক্তির সুযোগ রাখার সুপারিশ করেছে।
শেয়ারবাজারে গুণগত শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা
সম্প্রতি টাস্কফোর্স বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে জমা দেওয়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সংক্রান্ত খসড়া সুপারিশমালায় বিষয়টি উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে গুণগত শেয়ারের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে কেস টু কেস ভিত্তিতে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করা বহুজাতিক ও বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সরাসরি তালিকাভুক্তির অনুমতি দেওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে, তালিকাভুক্তির ন্যূনতম শেয়ার ইস্যুর শর্ত ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে এমন কোম্পানির জন্য তালিকাভুক্তিকে বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আইপিওর নিয়মে পরিবর্তন ও নতুন সুযোগ
টাস্কফোর্স ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ কোটি এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতির জন্য ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করেছে।
এছাড়া, দেশের বাইরে থেকে তহবিল উত্তোলনের জন্য ক্রস-বর্ডার আইপিওর বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাজারভিত্তিক দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে কিছু আইনি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স, যার মধ্যে ডাচ অকশন পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন এবং বিডিং প্রক্রিয়ায় যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।
আইপিও আবেদন সহজতর করার পরিকল্পনা
আইপিও অনুমোদনের সময়সীমা কমিয়ে আনার সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর জন্য ৫.৫ মাস এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতির জন্য ৬.৫ মাস সময় নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া, আইপিও আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করতে একটি অনলাইন ড্যাশবোর্ড চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাবও করা হয়েছে। বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ পূর্বশর্ত বাতিল করার পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারী ও ইআইদের জন্য ৫০ শতাংশ আইপিও কোটার বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারের সম্প্রসারণ ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের প্রত্যাশা
টাস্কফোর্সের এই সুপারিশগুলো শেয়ারবাজারের সম্প্রসারণ ও দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।