১৫ মার্চ ২০২৫ শনিবার, ১১:২৮ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমলো ২০ হাজার কোটি টাকা
দেশের শেয়ারবাজার থেকে বিদায়ী সপ্তাহে আরো সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা কমেছে। এর আগের সপ্তাহেও প্রায় সোয়া ১৩ হাজার কোটি টাকার গায়েব হয়েছিল। অর্থাৎ গত সপ্তাহের ২ সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা কমেছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর সব সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১.৬৫ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২২৫.৬১ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ১১.৮৮ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯০১.৫৬ পয়েন্টে।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪.৩৯ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬৫.২৮ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ৪৭.৩৩ পয়েন্ট বা ৩.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.০৫ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টি, কমেছে ১৮৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার ৬ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৬বার হাতবদল হয়।
টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮১৩ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪১ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ৭.৭৮ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭০ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার টাকায়।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৫৭৬ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ০.৯৬ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৩.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৭৬.২৭ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৫৬.১৭ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৫০.৯৪ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ৮.৫১ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২.৮৬ পয়েন্ট বা ০.৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ১১১.৮১ পয়েন্টে এবং ৯৪৫.৯৬ পয়েন্টে।
এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ১২৬.১৯ পয়েন্ট বা ১.০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯২৩.৩৯ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টি, কমেছে ১৫৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৬৭ টাকার।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ২২ হাজার ৩৩৪ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৪২ লাখ ২ হাজার ৫৩৩ টাকা বা ৭৩.৬৭ শতাংশ।
রিটার্নে ১১ খাতে লোকসান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে রিটার্নে দর কমেছে ১১ খাতে। এর ফলে এই ১১ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৮ খাতে। এছাড়া আলোচ্য সময়ে দর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আর্থিক খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ২.০০ শতাংশ। ১.৪০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাট এবং তথ্য প্রযুক্তি খাত। একই সময়ে ০.৯০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে সিমেন্ট এবং সেবা ও আবাসন খাত।
লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০.৮০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০.৭০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ০.৬০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ০.১০ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ০.০২ শতাংশ দর কমেছে।
৮ খাতে মুনাফা
শেয়ারবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে ৮ খাত থেকে মুনাফা পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা। কারণ আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৮ খাতে। এর ফলে এই ৮ খাতের মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১১ খাতে। এর ফলে এই ৮ খাতে বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে। এই খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ২.২০ শতাংশ। ১.৮০ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক রিটার্ন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। একই সময়ে ১.৩০ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাত।
সাপ্তাহিক রিটার্নে অন্য ১৪ খাতের মধ্যে- মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ১.১০ শতাংশ, কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ০.৮০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ০.৮০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ০.৭০ শতাংশ এবং ব্যাংক খাতে ০.৫০ শতাংশ দর বেড়েছে।
ডিএসইর পিই রেশিও অপরিবর্তিত
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৫৯ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায় বিদায়ী সপ্তাহে- ব্যাংক খাতে ৬.৭ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.১ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৯২ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.১ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৬.৭ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৫ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.০ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.১ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৮.৭ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৬.৪ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.২ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২২.৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪০.৯ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.১ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.০ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪৩.২ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩৩.২ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.৫ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আগের সপ্তাহে (০২-০৬ মার্চ’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৭ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.১ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৯৩.৮ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.২ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৭.১ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৫ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.১ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৮.৯ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৭.২ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.৪ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২২.৮ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪০.২ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.০ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.০ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪২.৬ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩৩.১ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.৬ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৫ পয়েন্ট।
ব্লক মার্কেটে ১০ কোম্পানির ৮২ কোটি টাকার বেশি লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।
কোম্পানিগুলো হলো- বিচ হ্যাচারি, ওরিয়ন ইনফিউশন, সিঙ্গার বিডি, লাভেলো আইস্ক্রিম, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এনআরবি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা ব্যাং এবং ফাইন ফুডস।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ৮২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিচ হ্যাচারির সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১২১ টাকা ৩০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৮ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৪১৬ টাকা ৬০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ সিঙ্গার বিডির ১০ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১০৯ টাকা ৪০ পয়সা।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- লাভেলো আইস্ক্রিমের ৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, এনআরবি ব্যাংকের ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, যমুনা ব্যাংকের ২ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ফাইন ফুডসের ২ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৬.১২ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৪১৬ টাকা ৬০ পয়সায়।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১০১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.২ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১২১ টাকা ৩০ পয়সায়।
সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে- লাভেলো আইস্ক্রিম। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯২ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৭৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সায়।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ৫২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, লিন্ডেবিডির ৫০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, হাক্কানি পাল্পের ৩৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, রবি আজিয়েটার ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং শাইনপুকুর সিরামিকসের ৩৩ কোটি ৬২ লাখ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ১১.৪৭ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৭৪ টাকা ১০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৮ টাকা ৫০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিআইএফসির শেয়ার দর কমেছে ৯.২১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৭ টাকা ৬০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৭০ পয়সা।
৮.৬৫ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.৯৬ শতাংশ, ইস্টার্ন ক্যাবলসের ৭.৯৭ শতাংশ, সামিট পাওয়ারের ৭.৫৫ শতাংশ, আইবিবিএল ২য় পারপেচ্যুয়াল বন্ডের ৭.৪৪ শতাংশ, ফ্যামিলি টেক্স বিডির ৭.১৪ শতাংশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানির ৭.০৯ শতাংশ এবং সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭.০৫ শতাংশ দর কমেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩২.৩৪ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২০ টাকা ১০ পয়সা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭ টাকা ৮০ পয়সা।
২১.৬১ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে শ্যামপুর সুগার।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ১০৪ টাকা ৬০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৭ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২২ টাকা ৬০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- শাইনপুকুর সিরামিকসের ১৬.৯৬ শতাংশ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৬.৬৭ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্স ফান্ডের ১৬.৫৬ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ১২.৫০ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১২.৫০ শতাংশ, জিলবাংলা সুগারের ১০.৯০ শতাংশ এবং হাক্কানি পাল্পের ১০.৭৮ শতাংশ দর বেড়েছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।