facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি শনিবার, ২০২৫

Walton

পুঁজিবাজারে প্রধান ছয় খবর, যা আপনি জানতে চান


১৭ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার, ০৯:৪৯  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


পুঁজিবাজারে প্রধান ছয় খবর, যা আপনি জানতে চান

শেয়ারবাজার থেকে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকা গায়েব

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন হয়েছে। এর ফলে শেয়ারবাজার থেকে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকার গায়েব হয়ে গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইর সবগুলো সূচক কমলেও টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন মূলধন কমেছে৩ হাজার ৩৫২ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বা ০.৫১ শতাংশ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পতনেও টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছেছ।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০.৫১ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৩৩.৯২ পয়েন্টে।

অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট বা ১.৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৪.২৭ পয়েন্টে।

ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১.৩ পয়েন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৫০.৬৪ পয়েন্টে।


এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ৩৯.৫ পয়েন্ট বা ৩.৫৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৪.১৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টি, কমেছে ২৬৩টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭১ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার ৬ লাখ ৫০ হাজার ১৪৩বার হাতবদল হয়।

টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯০ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৩২ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৫৭ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ৯.০৮ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৯৩ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪০ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকায়।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৩৫২ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বা ০.৫১ শতাংশ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৮.০০ পয়েন্ট বা ০.৭৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৫১.৯১ পয়েন্টে।

সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৬৮.৭৭ পয়েন্ট বা ০.৭৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭২৮.৩৩ পয়েন্টে।

অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১৩.৪৭ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ কমে এবং সিএসআই সূচক ১.৫৫ পয়েন্ট বা ০.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ৯৬.৩৬ পয়েন্টে এবং ৯৩৪.৫৯ পয়েন্টে।

এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ১৫৭.৬৪ পয়েন্ট বা ১.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৫৯.৫০ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টি, কমেছে ১৮৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।

সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৪ টাকার।

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৩৫ লাখ ৭১ হাজার ৪৩৪ টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ৬১৯ টাকা বা ১০৭.৫৬ শতাংশ।

রিটার্নে ১৭ খাতে লোকসান

বিদায়ী সপ্তাহে (১২-১৬ জানুয়ারি’২৫) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৭ খাতে। এর ফলে এই ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৩ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আর্থিক খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৩.৭০ শতাংশ। ৩.২০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাংক এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। একই সময়ে ৩.১০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে সিমেন্ট এবং তথ্য প্রযুক্তি খাত।

লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ২.৮০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২.৫০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ১.৭০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ১.৪০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১.২০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১.২০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১.২০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১.০০ শতাংশ, কাগজ ও রসায়ন খাতে ১.০০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ০.৯০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ০.৯০ শতাংশ এবং পাট খাতে ০.৫০ শতাংশ দর কমেছে।

এদিকে, সাপ্তাহিক রিটার্নে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সিরামিক খাতে। এ খাতে সাপ্তাহিক রিটার্নে ৩.১০ শতাংশ দর বেড়েছে। অন্য দুই খাতের মধ্যে- প্রকৌশল খাতে ২.৩০ শতাংশ এবং বিবিধ খাতে ০.২০ শতাংশ দর বেড়েছে।

ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে

বিদায়ী সপ্তাহে (১২-১৬ জানুয়ারি’২৫) ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশেও কমেছে ০.১৪ পয়েন্ট বা ১.৪৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৫১ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতে ৬.৬ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.৫ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩২৩.৩ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৯.০ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৭.৪ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৪.১ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৫ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৫ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৯.৬ পয়েন্ট, পাট খাতে ৪৬.৪ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৩ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৫.২ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৫.৫ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৫ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.০ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২৮.১ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬৫.২ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.২ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৪.৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আগের সপ্তাহে (০৫-০৯ জানুয়ারি’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৮ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.৯ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩১২ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.৫ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৮.৭ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৪.১ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৬ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৯ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২০.১ পয়েন্ট, পাট খাতে ৪৬.১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩২.৯ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৫.৩ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৫.৫ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.১ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২৮.৩ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬৬.৯ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.৪ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৪.৪ পয়েন্ট।

ব্লক মার্কেটে ১০ কোম্পানির ৮৬ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

বিদায়ী সপ্তাহে (১২-১৬ জানুয়ারি’২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।

কোম্পানিগুলো হলো-মুন্নু ফেব্রিক্স, এসিআই, রিলায়েন্স ওয়ান, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এক্সপ্রেস ইন্স্যরেন্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফাইন ফুডস, রেনেটা, আইসিবি সোনালী ওয়ান এবং বিকন ফার্মা।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ৮৬ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্লক মার্কেটে মুন্নু ফেব্রিক্সের সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসিআই লিমিটেডের ১৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৫০ টাকা ১০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রিলায়েন্স ওয়ানের ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা।

সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ফাইন ফুডসের ৬ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, রেনেটার ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আইসিবি সোনালী ওয়ানের ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং বিকন ফার্মার ২ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দর পতনের শীর্ষে ফাইন ফুডস

বিদায়ী সপ্তাহে (১২-১৬ জানুয়ারি’২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ফাইন ফুডসের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ১৮.৬৬ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২৫৪ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০৭ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১৮.৩৪ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩৩ টাকা ৮০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৬০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।

১১.৪৩ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৪০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০.৬৫ শতাংশ, এসবিএসি ব্যাংকের ১০.২৩ শতাংশ, ইসলামিক ফাইন্যান্সের ১০.১৯ শতাংশ, প্রগতী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯২ শতাংশ, সিএপিএম আইবিবিএলের ৯.৪৭ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৮.৩৩ শতাংশ এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৮.১৬ শতাংশ দর কমেছে।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে খুলনা প্রিন্টিং

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে খুলনা প্রিন্টিংয়ের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৮.৫৭ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা।

ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ার দর বেড়েছে ১৭.৮৩ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১০২ টাকা ১০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৮ টাকা ২০ পয়সা।

১৭.০২ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে সেন্ট্রাল ফার্মা।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- মুন্নু সিরামিকসের ১৬.৭২ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ১৬.৬৭ শতাংশ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৪.৯১ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ১৩.৫৯ শতাংশ, নিউলাইন ক্লোথিংসের ১১.৫৯ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের ১১.৪৩ শতাংশ এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১০.৫৫ শতাংশ দর বেড়েছে।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: