facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শনিবার, ২০২৫

Walton

পুঁজিবাজারে বোমা! নেগেটিভ ইক্যুইটি—বিনিয়োগ ঝুঁকির ভয়াল সঙ্কেত!


০৮ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার, ০৯:১৫  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


পুঁজিবাজারে বোমা! নেগেটিভ ইক্যুইটি—বিনিয়োগ ঝুঁকির ভয়াল সঙ্কেত!

এক দশকের পুরনো ধসের রেশ এখনো বহন করছে দেশের পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের বিপরীতে গলে গেছে হাজার কোটি টাকা! হিসাব মিলাচ্ছে না লাভ-লোকসানের—অর্থ মন্ত্রণালয়ের দারস্থ বিএসইসি!

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের বিপরীতে অনাদায়কৃত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা—যা প্রভিশন বাদ দিলে নিট নেগেটিভ ইক্যুইটি।


এই বিপুল ঋণ ভারে হেলে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের হিসাবপত্র, সংকট ঘনীভূত হয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থায়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছে। একইসঙ্গে আহ্বান জানিয়েছে একটি জরুরি সভার, যেখানে অংশ নেবে ডিএসই, সিএসই ও সব মার্চেন্ট ব্যাংক।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালের ধস এবং পরবর্তী অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন হিসাবগুলিতে গড়ে উঠেছে অনাদায়ী লোকসানের পাহাড়। যা **আজকের দিনে দাঁড়িয়ে গেছে ভয়াবহ এক নেগেটিভ ইক্যুইটিতে**। অতীতের নানা উদ্যোগও এই বোঝা লাঘবে ব্যর্থ হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট মার্জিন ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় **১৮ হাজার ১২৮ কোটি টাকা**, যার মধ্যে বিপুল অংশই এখন নেগেটিভ ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত।

ডিএসইতে নেগেটিভ ইক্যুইটি:


- মোট ঋণ: ১১,৫৪৫ কোটি টাকা
- প্রকৃত নেগেটিভ ইক্যুইটি: ৫,১৪৪ কোটি
- সুদসহ মোট নেগেটিভ ইক্যুইটি: ৬,৩৩৬ কোটি টাকা
- প্রভিশন: মাত্র ১,৪৫৮ কোটি

সিএসইতে নেগেটিভ ইক্যুইটি:


- মোট ঋণ: ৩৫.৫৯ কোটি
- প্রকৃত নেগেটিভ ইক্যুইটি ও সুদ: প্রায় ৩০ কোটি
- প্রভিশন: ১,০০৩ কোটি

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর চিত্র:


- মোট ঋণ: ৬,৫৪৭ কোটি
- প্রকৃত নেগেটিভ ইক্যুইটি: ২,৭০৮ কোটি
- সুদসহ মোট: ৪,১৫৯ কোটি
- প্রভিশন: ১,২৩৯ কোটি

সব মিলিয়ে, নিরাপত্তা সঞ্চিতি বাদ দিলে চূড়ান্ত নেগেটিভ ইক্যুইটির অঙ্ক দাঁড়ায় ৭৮২৪ কোটি টাকা**, যা দেশের শেয়ারবাজারে এক ভয়ানক আর্থিক ঝুঁকির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার সমাধানে নতুন সময়সীমা চায় ডিবিএ

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)** জানিয়েছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রভিশনিং সময়সীমা বাড়ানো হোক। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ক্ষতিপূরণ বা সহায়তা নীতির দাবি জানানো হয়েছে অর্থ উপদেষ্টার কাছে।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

শেয়ারবাজার -এর সর্বশেষ