০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার, ১১:৪৬ এএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। তবে, সীমান্তের বান্দরবান এলাকায় গুলির শব্দ কমে এসেছে। দুদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত শান্ত থাকায় আতঙ্ক কমেছে স্থানীয়দের মধ্যে। ফলে ঘরে ফিরেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন।
যদিও বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুমধুম মধ্যমপাড়া এলাকা থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় একটি মর্টার শেল উদ্ধার করেছে বিজিবি। ঘুমধুম সীমান্ত গোলাগুলির শব্দ কমে এলেও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল সীমান্তে।
অন্যদিকে বান্দরবানের ঘুমধুমে আশ্রয় নেওয়া ১০১ জন বিজিপি সদস্যকে টেকনাফের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিকেলে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে অনেক অপরাধী পালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, সীমান্তের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও মংডুর সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নবী হোছাইনের আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির (এআরএ) মধ্যে হয়েছে। আরাকান আর্মির পক্ষে নেওয়াকে কেন্দ্র করে আরএসও এবং এআরএ নতুন করে বিবাদে জড়িয়েছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১০-১২টা গুলির শব্দ ও ২-৩টি মর্টার শেলের আওয়াজ শোনা গেছে। এতে নতুন করে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেদেশের বিজিপির সংঘর্ষ পালংখালী সীমান্ত অংশে থেমে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আর কেউ নেই বলে জানা গেছে। পরিস্থিত শান্ত হয়ে আসায় লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোকজনকে সরিয়ে নেয় বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।