০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার, ০১:০৪ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার প্রক্রিয়া অত্যধিক দীর্ঘ, যা পরীক্ষার্থীদের জন্য হতাশাজনক এবং প্রশাসনে দক্ষ জনবল নিয়োগে বিলম্ব ঘটায়। এই প্রক্রিয়াকে সংক্ষিপ্ত করতে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও মধ্য পদোন্নতির জন্য নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে এটি সহজে পরিবর্তন করা না যায়।
নতুন রূপরেখা অনুযায়ী, বিসিএস নিয়োগের প্রতিটি ধাপ নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করার জন্য একটি বার্ষিক ক্যালেন্ডার নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত সময়সূচি হলো—
✅ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ: জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ
✅ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ
✅ প্রিলিমিনারির ফল: মে মাসের প্রথম সপ্তাহ
✅ মূল লিখিত পরীক্ষা: জুনের দ্বিতীয়ার্ধ (১০ দিনব্যাপী)
✅ লিখিত পরীক্ষার ফল: ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ
✅ মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা: জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ
✅ পিএসসির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ: এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ
✅ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন: মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ
✅ নিয়োগ গেজেট প্রকাশ: জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ
✅ কর্মস্থলে যোগদান: জুলাই মাসের ১ তারিখ
✅ ফাউন্ডেশন কোর্স শুরু: আগস্টের প্রথম সপ্তাহ
সংস্কার কমিশন পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনেরও সুপারিশ করেছে। লিখিত পরীক্ষার কাঠামোকে আরও সংক্ষিপ্ত করে একটি বিস্তৃত লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত ফল প্রকাশের কথা বলা হয়েছে।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, বিসিএস পরীক্ষার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তরুণরা দ্রুত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন, যা কর্মসংস্থানের গতিশীলতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এই নতুন সময়সীমা কার্যকর হলে, আপনি কি মনে করেন বিসিএস প্রস্তুতি ও ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে?
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।