বিসিএস ভাইভায় মনোবিজ্ঞানী রাখার প্রস্তাব

বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার প্রতিটি বোর্ডে একজন করে মনোবিজ্ঞানী রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার কেমন বিপিএসসি দেখতে চাই এবং কী কী সংস্কার প্রয়োজন শীর্ষক ‘অংশীজনের ভাবনা’য় বিসিএসে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা এ প্রস্তাব দেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে এ সভায় নানা বিষয়ে ভাবনা তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। সংস্কার প্রস্তাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ভাইভার দিন সকালে সবার সামনে উন্মুক্ত লটারির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ভাইভা বোর্ডের সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্রতিটি ভাইভা বোর্ডে একজন করে মনোবিজ্ঞানীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি বোর্ডের মূল্যায়ন পদ্ধতি একক ও সায়েন্টিফিক করতে হবে।

বোর্ড ভেদে গড় নম্বরের বিস্তর ফারাক যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন বোর্ডে সদস্যদের মধ্যে নিয়মিত মতবিনিময় সভা ও কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।

বিসিএস পরীক্ষার্থীরা আরও যেসব সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন—

১. প্রতিটি পরীক্ষার্থীর জন্য সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সময়ের নির্দিষ্ট রেঞ্জে ভাইভা নেওয়া। দুই শিফটে ভাইভা চালু করা অথবা লাঞ্চ আওয়ারের পরে ভাইভা অনুষ্ঠিত হলে রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থা রাখা দরকার।

২. ঢাকার বাইরের কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের সর্বদা সবার শেষে ভাইভা নেয়ার প্রথা বন্ধ করা।

৩. আলাদা বিল্ডিং বা আলাদা ফ্লোরে ভাইবার ব্যবস্থা করা, যাতে সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে কেউ প্রবেশ করতে বা বের হতে না পারে। সেখানে কোনো মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন থাকা যাবে না। এই বিল্ডিং বা ফ্লোরে নেটওয়ার্ক জ্যামারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

৪. মৌখিক পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সুনির্দিষ্ট কিছু সেগমেন্টে ভাগ করে প্রতি সেগমেন্টে নির্দিষ্ট নম্বরের ওপর মার্কিং করা। ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্য সদস্যদের মধ্যে নির্দিষ্ট হারে নম্বর বণ্টন করা।

এর আগে বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রার্থীরা।