০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার, ০১:১২ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেক্সিমকো গোষ্ঠীর কারখানা পরিচালনা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এর আগে কয়েকটি কারখানা লে-অফ করা হলেও শ্রমিকরা কারখানা চালুর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে সরকার বেক্সিমকোর কারখানা ব্যবস্থাপনায় পৃথক কমিটি গঠন করে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বেক্সিমকো গ্রুপ দেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলস (বস্ত্র ও পোশাক) খাতের বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই শিল্প পার্কের আওতাধীন ৩২টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টিই কাগজে-কলমে আছে, বাস্তবে নেই। এই অস্তিত্বহীন কোম্পানিগুলোর বিপরীতে রয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণ।
সরকার ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে লে-অফ থাকা ১২টি কারখানা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের বন্ধকি শেয়ার বিক্রি করা হবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে গতকাল আরও চারটি কারখানা লে-অফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটির ঋণ জালিয়াতি ও ব্যবস্থাপনা সংকট দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।