facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৮ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৫

Walton

বেক্সিমকো ফার্মার ২২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজে দুদক


১৭ মার্চ ২০২৫ সোমবার, ১১:৪৫  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


বেক্সিমকো ফার্মার ২২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজে দুদক

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে বেক্সিমকো ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ২২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। এতে সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার, উপসহকারী পরিচালক মো. জুয়েল রানা ও কাজী হাফিজুর রহমান অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা নথিপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করোনার ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বচ্ছতার অভাব ছিল। ২০২০ সালে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্ত হয়। চুক্তিতে সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ করা হয়নি এবং দর-কষাকষির নিয়ম ভঙ্গ করে তৃতীয় পক্ষকে লাভবান হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা কিনলে ৬৮ লাখ অতিরিক্ত ডোজ সংগ্রহ করা যেত।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেক্সিমকো ফার্মা প্রতিটি ডোজ থেকে ৭৭ টাকা লাভ করেছে। মোট ৭০ মিলিয়ন ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার জন্য খরচ হয়েছে ২ হাজার ১৭৫ বিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে, সিনোফার্মার ৩.১৫ মিলিয়ন ডোজের আমদানিতে ২৭.৪৭৫ বিলিয়ন টাকা খরচ হয়েছে, যা প্রতি ডোজ প্রায় ১০০ ডলারে ক্রয় করা হয়। অথচ সরকারি অনুমোদিত মূল্য ছিল ১০ ডলার। ফলে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ অভিযোগে সালমান এফ রহমান ও জাহিদ মালেক ছাড়াও তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (ডিএমআরসি) চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী এবং সাবেক মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের নাম রয়েছে।

এছাড়া, বঙ্গভ্যাক্সের অনুমোদন স্থগিত করা নিয়েও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গভ্যাক্স ট্রায়ালের অনুমোদন আটকে দেওয়া হয়, যাতে বেক্সিমকো গ্রুপ সুবিধা পেতে পারে। গ্লোব বায়োটেকের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে।

দুদক এ বিষয়ে গভীর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: