১৫ জানুয়ারি ২০২৫ বুধবার, ১১:০২ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
দেশের ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের পরিমাণ পৌঁছেছে প্রায় ১৭ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকায়, যা আগের বছরের তুলনায় ৭.৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অগাস্ট মাসে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, মাত্র ৭.০২ শতাংশ। তবে সেপ্টেম্বরে উন্নতি শুরু হয়, যখন আমানত বাড়ে ১৪ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে হয় ৭.২৬ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি অক্টোবরে আরও বৃদ্ধি পেয়ে ৭.২৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন কর্মকর্তারা জানান, গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে নেওয়া পদক্ষেপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দুর্বল ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন এবং বেনামি ঋণের সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ।
শক্তিশালী ব্যাংকগুলোতে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২০২৪ সালে নতুন ৫ হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করতে পেরেছে। ব্যাংকটির সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ঋণের চাহিদা কমে গেছে, যা ব্যাংকগুলোর তারল্য পরিস্থিতি উন্নত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার আমানত বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এই প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক কারণ ব্যাংকে থাকা টাকা বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধিতে সহায়ক।
অবশেষে, মহামারীর পরবর্তী সময়ে মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থ কমেছে এবং তা ব্যাংকে ফিরে আসছে, যা অর্থনীতির জন্য শুভ লক্ষণ। নভেম্বর ২০২৩ সালে মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থ ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১১.৬৮ শতাংশ বেশি।
এভাবে ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ও গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধার দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।