ব্র্যাক ব্যাংকে লাইব্রেরি: ‘অপেক্ষা’ নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা

সাহিত্যচর্চা ও মানসিক উৎকর্ষতার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ব্র্যাক ব্যাংক। সম্প্রতি ঢাকার সেপাল প্লাটিনাম টাওয়ারে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বর্ধিত ভবনে এক আকর্ষণীয় লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়। কর্মীদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং জ্ঞানের প্রসারে এটি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

লাইব্রেরি: জ্ঞানের আলো ছড়ানোর মশাল

ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন এই গ্রন্থাগারে কর্মীদের জন্য রয়েছে নানা ধরণের বই, যা তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারা বিকাশে সহায়তা করবে। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মীদের মধ্যে সাহিত্য ও শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে চাই। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধেরই একটি প্রতিফলন।”

‘অপেক্ষা’ নিয়ে রিডিং ক্যাফের প্রাণবন্ত আলোচনা

লাইব্রেরি উদ্বোধনের দিনে বিশেষ আয়োজন ছিল খ্যাতিমান লেখক হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী উপন্যাস ‘অপেক্ষা’ নিয়ে আলোচনা। ব্যাংকের কর্মীদের অংশগ্রহণে এই আয়োজন ছিল ব্যতিক্রমী ও অনুপ্রেরণাদায়ক।

আলোচনায় উঠে আসে উপন্যাসে চিত্রিত মধ্যবিত্ত জীবনের সূক্ষ্ম দিক, চরিত্রগুলোর ভালোবাসা ও সংগ্রামের গল্প। রিডিং ক্যাফের সদস্যরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করে বলেন, হুমায়ূন আহমেদের লেখার শক্তি পাঠকের মনকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের একটি কালজয়ী সৃষ্টি হিসেবে স্বীকৃত।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা

লাইব্রেরি ও রিডিং ক্যাফের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক আত্মোন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে, সাহিত্য ও জ্ঞানচর্চা কর্মক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণা এবং সহমর্মিতার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এই উদ্যোগ ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সবাই। ব্যাংকটি এভাবেই নিজেদের কর্মীবান্ধব ও সংস্কৃতিপ্রেমী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এইরকম একটি খবর শুধু প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণা নয়, বরং পাঠকদের মধ্যেও একটি ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম।