facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২১ এপ্রিল সোমবার, ২০২৫

Walton

মহররম মাসের ফজিলত


০৮ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার, ০৯:৫০  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


মহররম মাসের ফজিলত

মহররম হিজরি বছরের প্রথম মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রতিটি মুসলমানের একমাত্র চাওয়া-পাওয়া হলো তিনি যেন মুসলিম উম্মাহকে বছরজুড়ে রহমত বরকত ও কল্যাণ দ্বারা ঢেকে দেন। এ মাসে রোজা রাখা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুমহান আদর্শ। হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী মহররমের ফজিলত তুলে ধরা হলো-

মহররম মাস মহান আল্লাহ তাআলার নিকট অনেক সম্মানিত ও মর্যাদার একটি মাস। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এসেছে, এ কারণে মহররম মাসের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রসুসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের রোজার পর মহররম মাসের রোজার ফজিলতই সবচেয়ে বেশি।’ (মুসলিম)।

মহররমের রোজা পালনে যাতে ইয়াহুদিদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা না হয়, সে ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার রোজা রাখ এবং এ বিষয়ে ইয়াহুদিদের থেকে ভিন্ন নিয়ম পালন কর। তোমরা মহররম মাসের ১০ তারিখ রোজা রাখার পাশাপাশি আগে বা পরে একদিন রোজা রাখ।’ (মুসনাদে আহমাদ) কেননা ইয়াহুদিরা শুধুমাত্র একদিনই (১০ মহররম) রোজা পালন করত।

আশুরার রোজার বরকতে আল্লাহ তাআলা বান্দার এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেন। অন্য হাদিসে এ সুখবর প্রদান করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। তিনি বলেছেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে আশা করি যে, আশুরার রোজার ফলে আগের এক বছরের গোনাহর কাফ্ফারা হয়ে যাবে।’ (মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ মাসের রোজা পালন করে অত্যাধিক ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। সমাজের সর্বস্তরে উত্তম কাজ প্রতিষ্ঠার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে ক্ষমা ও নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: