১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার, ০৭:০৯ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মেয়াদ আর না বাড়ানোর সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট টাস্কফোর্স। ইতোমধ্যে যেসব ফান্ডের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, সেগুলো নির্ধারিত সময় শেষে অবলুপ্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে গঠিত এই টাস্কফোর্স সম্প্রতি মিউচুয়াল ফান্ড ও মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে মেয়াদ শেষে মেয়াদি ফান্ডগুলো অবলুপ্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ইউনিটধারীদের মতামত ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে মেয়াদি ফান্ডকে খোলা তহবিলে রূপান্তর করা যেতে পারে।
টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউচুয়াল ফান্ড ঘোষণার সময়ই এর মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে এবং কোনো মেয়াদি ফান্ডের মেয়াদ ১০ বছরের বেশি হবে না। শেয়ারবাজারে বর্তমানে বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর প্রাথমিক মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ আর থাকবে না। যেসব ফান্ড ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদ বাড়িয়েছে, সেগুলোও বর্ধিত মেয়াদ শেষে অবলুপ্ত হবে।
এছাড়া, মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ নীতিতেও কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে:
টাস্কফোর্স আরও সুপারিশ করেছে, ইকুইটি বা বর্ধিষ্ণু মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ৫১ শতাংশ বিনিয়োগ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে করতে হবে, আর বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ারবাজারের বাইরে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে। ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ অর্থ ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। তবে এসব তহবিল আইপিও ছাড়া অন্য কোনো ইকুইটি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে পারবে না।
এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য বিএসইসিকে মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করতে হবে। তবে টাস্কফোর্সের সব সুপারিশ গ্রহণ করা হবে কি না, তা বিএসইসির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজার উন্নয়নে নীতিমালা সংশোধনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত ৭ অক্টোবর পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে বিএসইসি। সরকারি চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় গত ১০ জানুয়ারি। টাস্কফোর্সের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ডিএসই-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং-এর অংশীদার এ এফ নেসারউদ্দীন, বুয়েটের অধ্যাপক মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক আল-আমিন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।