facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

রাগ নিয়ন্ত্রণ রোজায় পূর্ণতা আনে


০৯ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার, ১০:৪৬  এএম

ধর্ম ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


রাগ নিয়ন্ত্রণ রোজায় পূর্ণতা আনে

মানুষের ষড় রিপুর একটি হলো- রাগ। রাগ এমন একটি অস্বস্তিকর তীব্র মানসিক অবস্থা, যা মানুষের শুভ বুদ্ধিকে কমিয়ে দেয়। এর ফলে অনেক সময় মানুষ অহিতকর ও গর্হিত কাজ করে ফেলে। এটা রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং রোজার সওয়াবকে কমিয়ে দেয়।

রাগের কারণে মানুষের ভেতরে যে অস্বস্তিকর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করা রোজার চাহিদা ও দাবি। কেননা মানুষের আচরণে সংযত স্বভাব আনার জন্যই রোজা বিধিত হয়েছে। রাগ, ক্রোধ প্রভৃতি নেতিবাচক স্বভাবকে নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজাপালন করলে রোজার পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হবে।

পবিত্র কোরআনে রাগ দমনকে আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, যারা রাগ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল (তারা সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত)। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালোবাসেন। সুরা আল ইমরান: ১৩৪

আয়াতে রাগ সংবরণ এবং মানুষকে ক্ষমা করার বিষয়টি পাশাপাশি বলা হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় দিক হলো, মানুষ সাধারণত অপর মানুষের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে কিংবা অপর মানুষ দ্বারা তার ছোট ছোট অধিকার হরণের শিকার হয়ে রাগ করে থাকে। প্রথমে বিষয়টি ছোট আকারে শুরু হলেও রাগ দমন করতে না পারলে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে। কিন্তু শুরুতেই যদি ছোট ছোট ভুল করা মানুষদের ক্ষমা করে দেয়া যায় কিংবা বিষয়টির মিমাংসা করে ফেলা হয় তাহলে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।

এজন্যই আয়াতে রাগ সংবরণের সাথে সাথে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই কোনো মানুষের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাগ করলে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা অর্জনের জন্য তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিৎ। আর রমজানের মাগফিরাতের দশদিনে রাগ দমন করে মানুষকে ক্ষমা করলে আশা করা যায় মহান আল্লাহও তাকে ক্ষমা করে দেবেন।

রাগ সংবরণ করা এবং মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়া মুমিন মুসলমানের মহৎ বৈশিষ্ট্য। রমজান মাসে এমন মহৎ বৈশিষ্ট্যের চর্চা ব্যাপকভাবে জোরদার করা উচিৎ। কেননা রমজানের প্রতিটি ভালো ও মহৎ কাজে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। মুমিনগণ ব্যাপকভাবে সেই সওয়াবের অধিকারী হোন। মুমিনদের এমন মহৎ ও উদার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, তারা যখন রাগান্বিত হয় তখন ক্ষমা করে দেয়। সুরা শুরা : ৩৭

মুমিনরা রাগের সময় নিজেদের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে না। বরং রাগের সময়ও তাদের মাঝে ক্ষমা ও অনুকম্পার প্রাবল্যতা থাকে। তারা রাগ সংবরণ করে মানুষকে ক্ষমা করে দেয়। তারা জানেন মহান আল্লাহ এর প্রতিদান হিসেবে জান্নাত দেবেন।

হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.) এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এমন একটি আমলের কথা বলুন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। রাসুল সা. বললেন, তুমি রাগ প্রকাশ করবে না, এতে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। তবারানি ২৩৫৩

মানুষের প্রতি মানুষের রাগ ও ক্রোধের কারণে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা কলহ সৃষ্টি হয়। তাই আসুন পবিত্র রোজার মাসে রাগ দমন করে ক্ষমাশীলতার চর্চা জোরদার করি। এতে মিলবে মহান আল্লাহর ভালোবাসা এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: