facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪

Walton

লভ্যাংশ ঘোষণাসহ পুঁজিবাজারের প্রধান ১০ খবর


২২ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার, ১০:৫৬  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


লভ্যাংশ ঘোষণাসহ পুঁজিবাজারের প্রধান ১০ খবর

জনতা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ

গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ।

হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ১ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ১৯ পয়সা।

সিলকো ফার্মার আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ

গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।


সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৮৪ পয়সা।

এসকে ট্রিমসের লভ্যাংশ ঘোষণা

গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি পৌনে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৯৪ পয়সা আয় হয়েছিল।

গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৬৫ পয়সা।

ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।

লোকসানে এনার্জিপ্যাক, দেবে না লভ্যাংশ

গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা আয় হয়েছিল।

গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ৪৫ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।

 পতনেও ভালো মুনাফা দুই শেয়ার বিনিয়োগকারীদের

আবারও বড় পতন শেয়ারবাজারে। বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। গুটি কয়েক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এর মধ্যে দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের মুনাফা সর্বোচ্চ বেড়েছে।

কোম্পানি দুইটি হলো : জুট স্পিনার্স এবং তুংহাই নিটিং।

জুট স্পিনার্স : আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৬৩ টাকা ২০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১৯ টাকা ৬০ পয়সা বা ৮.৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

তুংহাই নিটিং : আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩ টাকা ৪০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৩ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ২০ পয়সা বা ৬.৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

কোম্পানি দুইটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সর্বোচ্চ। এর কারণে লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণ পরই শেয়ার দুইটি থেকে বিক্রেতা হারিয়ে যায়। শেয়ার দুইটি কেনার জন্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল। তবে হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে আগ্রহ দেখায়নি বিনিয়োগকারীরা। তবে সর্বোচ্চ দর পেয়ে কিছু বিনিয়োগকারী সামান্য কিছু শেয়ার বিক্রি করলেও অধিকাংশ বিনিয়োগকারী মুনাফার আশায় শেয়ারগুলো হাত ছাড়া করেনি।

নতুন করে বিনিয়োগকারীদের ১২ হাজার কোটি টাকা লোকসান

আগের দিন নামমাত্র উত্থান হলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আবার পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চার কর্মদিবসই পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এতে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের ১২ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (১৭ নভেম্বর) লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে বাজার মূলধন হয় ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৮১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।


এছাড়া সপ্তাহের প্রথম দিন লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক হয় ৫ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স সূচক ১৫৮ পয়েন্ট কমেছে।

বৃহস্পতিবার সূচকের উত্থানে শুরু হয় লেনদেন। তবে আধা ঘণ্টার মাথায় সূচক পতনে চলে যায়। এরপর ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে সূচক আবার উত্থানে ফিরে আসে। এই উত্থান প্রবণতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুর ১২টা ৩ মিনিটের দিকে আবার পতনে চলে যায় সূচক। এরপর আর উত্থানে ফিরতে দেখা যায়নি। সূচকের পতনেই শেষ হয় লেনদেন। আজ সূচকের সাথে বাজার মূলধনও কমেছে। এতে এক দিনেই বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে স্থায়ী স্থিতিশীলতায় ফিরাতে নানান উদ্যোগ নিচ্ছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানান উদ্যোগের পরও বাজারের প্রতি আস্থা ফিরছে না বিনিয়োগকারীদের। শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই নয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও অনেকটা নিস্ক্রিয় রয়েছে। বাজারকে তার নিজস্ব রূপে ফেরাতে সব ধরণের বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরে আসতে হবে। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নানান উদ্যোগ শুধু কাগজে কলমে থাকলেই হবে না, তার বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।

বৃহস্পতিবারের বাজার পর্যালোচনা

আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭.৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ১০.৯৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৫.৫৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে ৩৬৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৯৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার বা ৭ শতাংশ।

ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৩৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৬টির বা ১৭.২৩ শতাংশের, কমেছে ২৬৩টির বা ৬৮.৬৬ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৫৪টির বা ১৪.০৯ শতাংশের।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ১৩২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৯টির।

এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে।

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার

বিদায়ী সপ্তাহে (১৭-২১ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের নেতৃত্বে উঠে এসেছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.১৭ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৬০ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি। সপ্তাহজুড়ে ব্যাংকটির প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৪৪ শতাংশ।

এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিচ হ্যাচারির ১১ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, লাভেলো আইসক্রিমের ১১ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ইসলামী ব্যাংকের ১১ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১০ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ১০ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, ফাইন ফুডসের ১০ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ফারইস্ট নিটিং এন্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার

বিদায়ী সপ্তাহে (১৭-২১ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ৭২টির দর বেড়েছে, ২৮৭টির দর কমেছে, ২৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ৩১টির লেনদেন হয়নি।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জুট স্পিনার্স লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৭.৫৪ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফাইন ফুডসের ২২.৩৩ শতাংশ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের ১৮.৯৫ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের ১৩.২৪ শতাংশ, মেঘনা ইন্সুরেন্সের ১৩.০১ শতাংশ, সমতা লেদারের ১২.৯৭ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের ১১.৫৪ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৯.৫৬ শতাংশ, নিটল ইন্সুরেন্সের ৯.৪৫ শতাংশ এবং পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের ৮.৯৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার

বিদায়ী সপ্তাহে (১৭-২১ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ৭২টির দর বেড়েছে, ২৮৭টির দর কমেছে, ২৩টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ৩১টির লেনদেন হয়নি।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আইবিবিএল সেকেন্ড পারপ্যেচুয়াল মুদারাবা বন্ডের। সপ্তাহজুড়ে বন্ডটির শেয়ারদর ১৮.৬৮ শতাংশ কমেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের ২৫.২৯ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের ২১.১০ শতাংশ, এসিআইয়ের ১৭.৮৬ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকসের ১৫.৪৯ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ১৩.১৫ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ১২.৯৯ শতাংশ, ফারইস্ট নিটিংয়ের ১২.৬৮ শতাংশ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১২.৬২ শতাংশ এবং বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ১১.৪২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

সাপ্তাহিক রিটার্নে ১৮ খাতে লোকসান বিনিয়োগকারীদের

বিদায়ী সপ্তাহে (১৭-২১ নভেম্বর) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৮ খাতে। এর ফলে এই ১৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে মুনাফা হয়েছে সেবা ও আবাসন খাতে ০.০১ শতাংশ এবং আর্থিক খাতে ০.৪০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ভ্রমণ ও আবাসন খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৮.৫০ শতাংশ। ৫.৫০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাগজ ও প্রকাশনা খাত। একই সময়ে ৩.৫০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত।

লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- সিরামিক খাতে ৩.৪০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ৩.২০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ৩.০০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ২.৭০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ২.৬০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ২.৬০ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২.৪০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২.৩০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২.০০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে ১.৯০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ১.৫০ শতাংশ, পাট খাতে ১.৪০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ১.২০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ০.৬০ শতাংশ এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ০.২০ শতাংশ দর কমেছে।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

শেয়ারবাজার -এর সর্বশেষ