facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৬ অক্টোবর বুধবার, ২০২৪

Walton

লভ্যাংশ সংক্রান্তসহ পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ১১ খবর (আপডেট)


১৫ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার, ১০:৫১  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


লভ্যাংশ সংক্রান্তসহ পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ১১ খবর (আপডেট)

পর্ষদ সভার তারিখ জানালো সি পার্ল

পর্ষদ সভার তারিখ জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। আগামী ২৭ অক্টোবর বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত সভায় ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

সভা শেষে লভ্যাংশের ঘোষণা আসতে পারে।

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পর্ষদ সভার তারিখ জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আগামী ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

সভা শেষে লভ্যাংশের ঘোষণা আসতে পারে।

ডরিন পাওয়ারের সম্পদমূল্য কমলো ৮২ কোটি টাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের মোট সম্পদমূল্য ৮২ কোটি টাকা কমেছে। ফলে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) কমেছে ৪ টাকা ৫৩ পয়সা।

গত ৩০ জুন পর্যন্ত করা কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যায়নের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ডরিন পাওয়ারের পর্ষদ সভায় সম্পদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।

ঢাকা স্টক একচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সম্পদ মূল্যায়ন করে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস। এতে দেখা যায়, নিরীক্ষার আগে কোম্পানিটির মোট সম্পদমূল্য ছিলো ১৭৭ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ৪৯৬ টাকা। মূল্যায়নের পর কোম্পানিটির সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ৭৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৮২ টাকায়। ফলে আগের হিসাবের তুলনায় কোম্পানিটির সম্পদমূল্য কমেছে ৮১ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ১১৪ টাকা।

এদিকে সম্পদমূল্য কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিটির নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) কিছুটা কমেছে। ডিএসই জানায়, গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ৫২ টাকা ৩৪ পয়সা থেকে আরও ৪ টাকা ৫৩ পয়সা কমেছে।

জানা যায়, কোম্পানিটির সম্পত্তি, প্লান্ট এবং সরঞ্জামের (পিপিই) লিখিত মূল্য অনুযায়ী এ মূল্যায়ন করা হয়। আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন মান এবং বিএসইসির নির্দেশনা মোতাবেক কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যায়ন করেছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কে. এম. আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

শেয়ারবাজারে ২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ারের দেশজুড়ে তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। টাঙ্গাইল ছাড়াও বাকি দুটি ফেনী ও নরসিংদীতে অবস্থিত। তবে সরকারের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফেনী এবং টাঙ্গাইলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে পিপিএর মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি) আবেদন করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা অমীমাংসিত থাকায় সম্প্রতি ফেনী এবং টাঙ্গাইল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইঞ্জিন, আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম, সাবস্টেশন সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সম্পদ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে ডরিন পাওয়ার।

২০০৮ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন্স অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নর্দান ও সাউদার্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।

ডিএসইর ‘ডিএসইএক্স’ সূচকে যুক্ত হলো টেকনো ড্রাগস

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স সমন্বয় করা হয়েছে। ফলে সূচকে যুক্ত হয়েছে নতুন কোম্পানি। আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) থেকে সূচক গণনায় নতুন যুক্ত হওয়া কোম্পানি বিবেচনায় নেয়া হবে।

ডিএসইর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কোন কোম্পানির বাদ পড়ার তথ্য নেই।

তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইএক্স সূচকে নতুন কোম্পানি হিসেবে যুক্ত হয়েছে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। সমাপ্ত প্রান্তিক শেষে এ সূচক সমন্বয় করা হয়েছে। তবে ডিএসইএক্স সূচক থেকে এবার কোন কোম্পানি বাদ পড়েনি।

সাধারণত, প্রতি ৩ মাস পরপর ডিএসইএক্স সূচক এবং প্রতি ছয়মাস অন্তর ডিএস-৩০ সূচক সমন্বয় করে থাকে ডিএসই।

এদিকে ডিএসইর এসএমই খাতের ‘ডিএসএমইএক্স’ সূচকে এবার নতুন কোন কোম্পানি যুক্ত হয়নি। পাশাপাশি নতুন কোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি বলে জানায় ডিএসই।

জেড ক্যাটাগরিতে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন লভ্যাংশ অনুমোদন এবং বিতরণ না করায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।

এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই। যা আজ থেকে কার্যকর হবে।

গত ২০ মে বিএসইসির জেড শ্রেণি নিয়ে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়- পরপর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দিলে, আইন অনুযায়ী নিয়মিত এজিএম না করলে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ বিতরণ না করলে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।

 বাজারকে উত্থানে ফেরানোর চেষ্টা ৪ কোম্পানির

আগের দিনের মতো মঙ্গলবারও (১৫ অক্টোবর) পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে ৯৬টির শেয়ার দর বেড়েছে। আর যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে সেগুলোর মধ্যে ৪টি কোম্পানি বাজারকে উত্থানে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছে।

কোম্পানিগুলো হলো : ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা এবং খান ব্রাদার্স।

ইসলামী ব্যাংক

আগের দিন ইসলামী ব্যাংকরে শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৫৬ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৫.০৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধমে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির সূচক ১৭.৮৯ পয়েন্ট বেড়েছে। অর্থাৎ আজ শেয়ারবাজারকে উত্থানে ফেরাতে কোম্পানিটি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।

ব্র্যাক ব্যাংক

আগের দিন ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছির ৫১ টাকা ৮০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৫২ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ৫০ পয়সা বা ০.৯৭ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির সূচক ১.৯৬ পয়েন্ট বেড়েছে। বাজারকে উত্থানে ফেরাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে কোম্পানিটি।

বেক্সিমকো ফার্মা

বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৭০ টাকা ৯০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর হয় ৭২ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ২.১২ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটিরি সূচক ১.৯৩ পয়েন্ট বেড়েছে। বাজারকে উত্থানে ফেরাতে কোম্পানিটি তৃতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।

এদিন বাজারকে উত্থানে ফেরাতে অন্য যেসব কোম্পানি চেষ্টা করেছে সেগুলোর মধ্যে খান ব্রাদার্সের সূচক ১.৩৩ পয়েন্ট বেড়েছে।


বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আজ উত্থানের চেয়ে আড়াই গুণ কোম্পানির দর কমেছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, সেগুলোর শেয়ার দর না বেড়ে যদি কমে যেত হবে বাজারে আরো বড় পতন দেখা যেত। শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। তবেই বাজার তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে।

বাজারের উত্থান ধরে রাখার চেষ্টা ৬ কোম্পানির

আগের কর্মদিবস বড় উত্থান হলেও সোমবার (১৪ অক্টোবর) বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যত কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে তার অর্ধেক কোম্পানির দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬টি কোম্পানি বাজারকে উত্থান ধারায় ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।

কোম্পানিগুলো হলো : স্কয়ার ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, সিঙ্গার বিডি, বিএসআরএম লিমিটেড এবং খান ব্রাদার্স।

স্কয়ার ফার্মা

আগের দিন স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২২৫ টাকা ১০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২২৭ টাকা। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৯০ পয়সা বা ০.৮৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির মাধ্যমে সূচক বেড়েছে ৪.৪৮ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে কোম্পানি বাজারকে উত্থানে ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬৯ টাকা ৬০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১৭৩ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ৪ টাকা ১০ পয়সা। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির সূচক বেড়েছে ২.১৯ পয়েন্ট। বাজারকে উত্থানে ধরে রাখতে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ১২২ টাকা ৬০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১২৪ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ১.৩১ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির সূচক বেড়েছে ১.২৩ পয়েন্ট। বাজারকে উত্থানে ধরে রাখতে তৃতীয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে কোম্পানিটি।

বাজারকে উত্থানে ধরে রাখতে অন্য যেসব কোম্পানির ভূমিকা রেখেছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গার বিডির ০.৭১ পয়েন্ট, বিএসআরএম লিমিটেডের ০.৫৯ পয়েন্ট এবং খান ব্রাদার্সের সূচক ০.৫৬ পয়েন্ট বেড়েছে।


বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর মধ্যেমে সূচক অল্প বাড়লেও এসব কোম্পানি বাজারকে উত্থানে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। এসব কোম্পানির শেয়ার দর যদি কমে যেত তবে বাজারে আরো বড় পতন হতে পারতো। কোম্পানিগুলোর বাজারকে আরো বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা করেছে।

৭ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের সাউথইস্ট ব্যাংকের এক উদ্যোক্তার ৭ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানির উদ্যোক্তা রেহানা কাশেম ৭ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছেন।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর শেয়ারগুলোর বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন এই উদ্যোক্তা।

ব্লকে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ২২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮ কোটি ৭৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- লাভেলো আইসক্রিম, প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স, বেক্সিমকো, এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্স এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আজ এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৯৭ লাখ টাকারও বেশি।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রিমের। এদিন কোম্পানিটির ৬ কোটি ২ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদে ন হয়েছে।

প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্সের ৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

আর ২ কোটি ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।

অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- এক্সপ্রেস ইন্সুরেন্সের ৯২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৮৮ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সর্বনিম্ন দামেও ক্রেতা নেই দুই কোম্পানির

সোমবারের মতো মঙ্গলবারও (১৫ অক্টোবর) পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আড়াই শতাধিকের শেয়ার দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২টি কোম্পানির শেয়ার ছাড়াতে আগ্রহ দেখা গেলেও সর্বনিম্ন দামেও তা কিনতে আগ্রহ দেখায়নি কেউ। দুই কোম্পানির শেয়ার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে।

কোম্পানি দুইটি হলো : গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল এবং ন্যাশনাল টি।

গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল

আগের দিন গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ কোম্পানিটির শেয়ার ২২ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদনে শুরু হয়। সর্বশেষ শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২২ টাকা ৪০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির দর ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৬৮ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটির লেনদেন শুরু হলে কিছুক্ষণ পরই ক্রেতা হারিয়ে যায়। যা লেনদেনের পরবর্তী সময় আর ফিরে আসেনি।

আজ লেনদেন শুরু কিছুসময় পরই কোম্পানিটির কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে অবস্থিত কারখানার উৎপাদন বন্ধের খবর প্রকাশ হয়। এরপরেই কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির জন্য আগ্রহ দেখাতে থাকে বিনিয়োগকারীরা। তবে শেয়ারটি কেনার জন্য বিনিয়োগকারীরা অনীহা দেখায়। সর্বনিম্ন দামেও শেয়ারটি কিনতে চাইনি বিনিয়োগকারীরা।

ন্যাশনাল টি

আগের দিন শেয়ারটির ক্লোজিং দর ছিল ২৪৬ টাকা ২০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় ২৩০ টাকা ১০ পয়সা। আর লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২২৪ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ২১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৬.৭৩ শতাংশ কমেছে। লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণ পরই শেয়ারটি থেকে ক্রেতা হারাতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত শেয়ারটিতে আর ক্রেতা ফিরে আসেনি।

এফআইডিতে বিএসইসির চিঠি, বিনিয়োগকারী প্রতিবাদ

পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে (এফআইডি) চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ০৬ অক্টোবর বিএসইসির পাঠানো এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসইসি যে চিঠি দিয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এতে যে সব বিষয়বস্তু উল্লেখ করে আমাদের সংগঠনকে দোষারোপ করা হয়েছে, তাতে আমরা (বাপুবিসপ) যারপরনাই ক্ষুব্দ ও চরমভাবে ব্যথিত হয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসির প্রেরিত চিঠির ভাষা প্রয়োগ থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপপ্রয়াস মাত্র। কারসাজিকারক ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি ব্যবস্থা ও সংস্কার কার্যক্রমকে আমাদের সংগঠন জোর সমর্থন জানায়। তার আগে বিনিয়োগকারী ও স্টেক হোল্ডারদের আস্থায় আনা ও প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রস্তুতি থাকা অত্যাবশ্যকীয় ছিল। সেটা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম মাত্রায় অনাস্থা কাজ করায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উদ্ভব।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এইরুপ পরিস্থিতিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন/সংস্কারের স্বার্থে করণীয় প্রসঙ্গে ১২ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীরা এর সুফল পাবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। অথচ আমাদের দাবী সমূহের গভীরতা অনুধাবন না করে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রয়াস লক্ষণীয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখিত ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি’ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের বক্তব্য হলো, ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ১২ দফার কোথাও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। সুতরাং এর দায়ভার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ বহন করে না। কমিশন বলেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি পেছনে থাকা ব্যাক্তিরা স্পষ্টভাবে পুঁজিবাজারের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলের। আশীর্বাদপুষ্ট। অথচ ২০১০ সালে ভয়াবহ দরপতনে বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর, কারসাজিকারক, অনিয়মে জড়িত ও শেয়ারবাজার লুন্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদ। কোন প্রকার রক্ত চক্ষুকে পরোয়া এবং কারো সাথে আপোষ করেনি, যার স্বাক্ষী সর্বস্তরের বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট মহল। এর জন্য ফ্যাসিবাদের রোষানলে পড়ে হামলা/মামলার শিকার হতে হয়েছে। ডিএসই কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বছরের পর বছর চালিয়ে এবং পুঁজিবাজারে পুঁজি হারিয়ে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে বিনিয়োগকারীরা। অথচ সেই বিনিয়োগকারীদেরকেই ভিক্টিম বানানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া ঢালাওভাবে দোষারোপ করার সংস্কৃতি বিগত ফ্যাসিবাদী আমলকে স্মরন করিয়ে দেয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাক্তিরা শত সহস্র শহীদ ও হাজার হাজার পঙ্গু, চোখ হারা, হাত-পা হারা, অঙ্গ-প্রতঙ্গ হারা আহত বীর ভাইদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত, আমাদের ছাত্র-জনতার সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রকৃত বিনিয়োগকারীদেরকে শত্রু চিহ্নিত করে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র কিনা, তা খতিয়ে দেখতে এবং নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার বিনিয়োগকারীদের উপর চাপিয়ে কার স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানাই। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত বিএসইসির চিঠি ইস্যুকারী সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখারও জোর দাবী জনাই। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিএসইসি প্রেরিত চিঠির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় এর দায়ভার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনকে বহন করতে হবে।

 

 

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

শেয়ারবাজার -এর সর্বশেষ