০২ আগস্ট ২০২৪ শুক্রবার, ১০:৫৭ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন গত বুধবার ফের শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
জানা যায়, গত বুধবার জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের সঙ্গে গ্যাস বিক্রয় চুক্তি (জিএসএ) সই করেছে শাহজিবাজার পাওয়ার। একই দিন রাত ৮টায় কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম ফের শুরু হয়।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৮ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ১৪ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৭১ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে ১৬ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে কোম্পানিটি মোট ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ২৮ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩০ শতাংশ দিয়েছিল শাহজিবাজার পাওয়ার। এর মধ্যে ২৮ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ২৩ পয়সা।
২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডরাদের ২৮ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল শাহজিবাজার পাওয়ার। আগের হিসাব বছরে ২৫ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৮৬ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪০৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৩১ হাজার ৬২৯। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৫৯ দশমিক ২১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৩৬ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৬৫ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল একই।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।