১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ১০:০৪ এএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
শিক্ষার্থীদের মারধরের পর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা গণি। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন ও শামীমের পরিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেইট সংলগ্ন এলাকায় আসলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে। রাত সাড়ে ৮ টায় আশুলিয়া থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পরে রাত ১২ টার দিকে সাভারের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট এলাকায় ব্যাপক মারধরের পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে রাত সাড়ে আটটায় উপাচার্যের উপস্থিতিতে তাকে হেফাজতে নেয় আশুলিয়া থানা পুলিশ। ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়া হয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাকে আশঙ্কাজনক মনে হয়নি। এমনকি তিনি নিজে হেটে পুলিশের গাড়িতে উঠেছেন। এরকম আসামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করার বিষয়টি রহস্যজনক। নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত বলে মনে করছি না।’
নিহত শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের জুয়েল-চঞ্চল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। শামীমের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমিদখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। এছাড়া তার বিরদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তার কাছে একাধিক নিবন্ধনহীন আগ্নেয়াস্ত্র ছিলো বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে তাকে `শ্যুটার শামীম` নামে ডাকা হতো। গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় তাকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।