০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার, ০১:৪৪ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে আলাদা করার সুপারিশ করেছে, যাতে এগুলো জুডিশিয়াল সার্ভিসের মতো পৃথক থাকে। বর্তমানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার বিসিএসের অংশ, তবে কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, এই দুটি ক্যাডারকে আলাদা করার মাধ্যমে বিশেষ সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
এছাড়া, প্রশাসন ক্যাডারের জন্য একটি নতুন সার্ভিস তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেখানে তাদের পদগুলো শুধুমাত্র মাঠ প্রশাসন (যেমন ইউএনও, এডিসি) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। এই পরিবর্তনের ফলে, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে উপসচিব পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন। বর্তমানে উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নিয়োগ হয়, তবে ভবিষ্যতে এই হার ৫০-৫০ করা হবে।
কমিশন আরো সুপারিশ করেছে যে, বিসিএস ক্যাডার পদে যোগদানের প্রথম পদটি ষষ্ঠ গ্রেড (বর্তমানে নবম গ্রেড) করা হবে এবং শূন্য পদে পদোন্নতির জন্য সুপারনিউমারারি পদ বন্ধ করা হবে। উপসচিব পর্যায়ে কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ির ঋণ সুবিধা বাতিল করা হবে। এর পাশাপাশি, মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা কমানোর এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলের চারটি বিভাগকে পৃথক প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া, কমিশন সুপারিশ করেছে যে, সরকারি কর্মকর্তারা ১৫ বছর চাকরি করার পর পেনশন সুবিধাসহ স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে পারবেন, বর্তমানে এটি ২৫ বছর চাকরি হওয়ার পর সম্ভব।
এই সুপারিশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রশাসন ক্যাডারকে একটি স্বতন্ত্র সার্ভিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমতা আনা। বিশেষ করে, কমিশনের পক্ষ থেকে সমবায় ও খাদ্য ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এটি এমন একটি পরিকল্পনা যা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। কমিশনের প্রধান, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, “আমরা যে সুপারিশ করছি, সেগুলি বাস্তবায়ন সম্ভব, তবে তা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।”
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।