facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ০১ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪

Walton

শুরুর হাসি কান্নায় শেষ করলো তাসকিন-সাকিবরা


১১ জুন ২০২৪ মঙ্গলবার, ১০:৪৪  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


শুরুর হাসি কান্নায় শেষ করলো তাসকিন-সাকিবরা

 

শেষ ২ বলে দরকার ছিল মাত্র ৬ রান। ২ বলই ফুলটস করেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশাভ মহারাজ। তবে সেটিকে বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বা তাসকিব আহমেদরা। খেসারত হিসেবে ম্যাচে ৪ রানের হার দেখতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একটা সময় পর্যন্ত জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। ১১৪ রান তাড়ায় ১৭ ওভারের মধ্যে ৯৪ রান করে ফেলে বাংলাদেশ। শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৩ রান, হাতে ৬ উইকেট। তবে তাওহিদ হৃদয়ের দুর্ভাগ্যজনক আউটে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। নবম দেখায়ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের গেরো খুলতে পারল না টাইগাররা।

১১৪ রান তাড়ায় এদিন ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদকে হারায় বাংলাদেশ। দুই বাউন্ডারি দিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেওয়া তানজিদকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। তিনে নামা লিটন এদিন দুই অঙ্কের রানে পৌঁছানোর আগেই কেশাভ মহারাজের স্পিনে পরাস্ত হন। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩ রান। শান্ত একপ্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেও দলকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। ২৩ বলে ১৪ রান করেই ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে।

৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে এই দুজন ৪৪ রান যোগ করেন। তবে ৯৪ রানের মাথায় হৃদয় (৩৪ বলে ৩৭) ফিরলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদার বলে শট খেলতে গিয়ে প্যাডে লাগে হৃদয়ের। সঙ্গে সঙ্গে আঙুল উঁচিয়ে ধরেন আম্পায়ার। হৃদয় রিভিউ নিলে দেখা যায়, স্টাম্পের সামান্য কানা ছুঁয়ে গেছে বলটি। শেষ পর্যন্ত আর জয়ের বন্দরে পৌঁছাতেই পারল না বাংলাদেশ। ২৭ বলে ২০ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।

এর আগে, তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানেই থেমেছে প্রোটিয়ারা। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন তানজিমের করা প্রথম ওভারেই চার-ছক্কা মেরে ঝোড়ো সূচনার ইঙ্গিত দেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তবে ১১ রান হজম করলেও ওই ওভারেই তিনি ফেরান আরেক ওপেনার রেজা হেন্ড্রিক্সকে। দ্বিতীয় ওভারে এসে উইকেট পাননি তাসকিন আহমেদ। দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও তানজিমের তোপ। এবার তার বলে সরাসরি বোল্ড হন ডি কক। ১১ বলে ১৮ রান করেন তিনি।

চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৩ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এবার অধিনায়ক মার্করামকে শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ড্রাইভ খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। রসদ তখনো শেষ হয়নি তানজিমের। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে আরও একটি উইকেট শিকার করেন তিনি। ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা ট্রিস্টান স্টাবসকে।

২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া প্রোটিয়াদের উদ্ধার করেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৯ রান। যদিও এই রান তুলতে তারা ব্যয় করেন সমান ৭৯ বল। ১৮তম ওভারের ১০২ রানের মাথায় ক্লাসেনকে (৪৪ বলে ৪৬) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তাসকিন। দলের সঙ্গে আর ৪ রান যোগ হতে ফেরেন মিলারও। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হন প্রোটিয়াদের আগের ম্যাচের নায়ক। এরপর আর উইকেট না হারালেও ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি এইডেন মার্করামের দল।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল তানজিম। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। সমান ওভারে এক রান বেশি দিয়ে ২ উইকেট নেন আরেক ডানহাতি পেসার তাসকিন। বাকি উইকেটটি রিশাদের। মোস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ কিপটে বোলিং করেছেন। এদিন সাকিব আল হাসান মাত্র এক ওভার হাত ঘোরান।

 

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: