facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর শনিবার, ২০২৪

Walton

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই: হতাশায় নিষ্ক্রিয় হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা


১৮ অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার, ০৭:৩৬  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই: হতাশায় নিষ্ক্রিয় হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারবাজারে দরপতন চলছেই। চলতি সপ্তাহে চার কার্যদিবসের প্রতিদিনই বাজারে দরপতন হয়েছে। এই চার দিনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৫ পয়েন্ট বা ২ শতাংশের বেশি কমেছে। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে গতকাল বৃহস্পতিবার এ সূচকটি কমেছে ৫৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশের বেশি।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, টানা দরপতনের কারণে শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। এ কারণে প্রতিদিনই বাজারে নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে। লোকসান কমাতে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন অনেকে। তাতে একদিকে কমছে শেয়ারের দাম অন্যদিকে লেনদেনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে।

ঢাকার বাজারে গতকাল দিন শেষে ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯৩টি বা ৭৪ শতাংশেরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ৫৩টির বা প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশের আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৯টির বা প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম।

ব্রোকারেজ হাউস লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ভালো মৌল ভিত্তির কিছু কোম্পানির। বিশেষ করে ব্যাংকের শেয়ারের দরপতনই বাজারে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ঢাকার বাজারে গতকাল যে পাঁচ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার কারণে সূচক সবচেয়ে বেশি কমেছে, সেগুলো হলো ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি বা বিএটিবিসি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও লাফার্জহোলসিম। এই পাঁচ কোম্পানির দরপতনে সম্মিলিতভাবে ডিএসইএক্স সূচকটি কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী বলেন, বাজারে ছোট, মাঝারি ও বড় সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের হতাশা ভর করেছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে কেউ বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন না। উল্টো অনেকে লোকসান মেনে নিয়ে শেয়ার বিক্রি করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার দিক থেকে বাজারের পতন থামাতে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না থাকায় বিনিয়োগকারীদের হতাশা আরও বাড়ছে। গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যাঁরা নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছিলেন, তাঁরাও এখন আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

এদিকে টানা দরপতনে ডিএসইর প্রধান সূচকটি কমে গতকাল দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে। সরকার বদলের পর এটিই ডিএসইএক্সের সর্বনিম্ন অবস্থান। সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ হাজার ২২৯ পয়েন্টে ছিল। সেখান থেকে কয়েক দিনের উত্থানে তা ৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল। এরপর পতন শুরু হলে আড়াই মাসে প্রায় সাড়ে ৭০০ পয়েন্ট কমে গেছে। তাতেই হতাশা ভর করেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: