২২ জানুয়ারি ২০২৫ বুধবার, ১১:২১ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
বিশ্বজুড়ে ৮২টি মিশনে কর্মরত প্রায় ৮০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে বছরে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। তবে সরকারের এ পদক্ষেপে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজস্ব সংকট ও বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির প্রেক্ষাপটে এই ব্যয়বৃদ্ধি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই মনে করেন, সরকারি চাকরিজীবীদের ভাতা বৃদ্ধি করের বোঝা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১২ সালের পর থেকে ভাতা পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ভাতা অনেক কম থাকায় এটি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, অর্থ বিভাগ বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রা বিনিময় হারের সমন্বয় বিবেচনা করে ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যদিও এই ভাতা বৃদ্ধিকে কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবুও মিশনগুলোর অনিয়মের অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। মহা হিসাব নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে ৫১টি মিশনে ২৩ ধরনের অনিয়মের তথ্য উঠে আসে।
এদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাশ্রয়ের পরিবর্তে ব্যয় বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক সত্ত্বেও, সরকার বিদেশে মিশন কর্মীদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে। তবে এই ব্যয়ের ভার শেষ পর্যন্ত জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।