০৮ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার, ১১:৩০ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
সরকার ১৯৯৭ সালে চালু করে পরিবার সঞ্চয়পত্র। ২০০২ সালে একবার তা বন্ধ করে দেওয়া হলেও ২০১০ সাল থেকে তা আবার চালু করা হয়। তবে যে কেউ পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন না। ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের যে কোনো বাংলাদেশী নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী বাংলাদেশী নারী ও পুরুষেরা কিনতে পারেন পরিবার সঞ্চয়পত্র। এ ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ সুবিধা পান নারীরা। অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনো নারী পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।
পেনশনের সঞ্চয়পত্র ছাড়া সাধারণ সঞ্চয়কারীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রেই সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। চালু সঞ্চয়পত্রগুলোর মুনাফার হার কমিয়ে আনা হলেও এখনো এ সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২। এ হার অবশ্য ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। ১৫ লাখ ১ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১০ দশমিক ৫। আর ৩০ লাখ ১ টাকা থেকে তার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফা সাড়ে ৯ শতাংশ।
পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা নেওয়া যায় মাসিক ভিত্তিতে। এ ক্ষেত্রে মুনাফার পরিমাণও নির্ধারণ করা আছে। যেমন ১০ হাজার টাকায় ৯৬ টাকা, ২০ হাজার টাকায় ১৯২ টাকা, ৫০ হাজার টাকায় ৪৮০ টাকা, ১ লাখ টাকায় ৯৬০ টাকা, ২ লাখ টাকায় ১ হাজার ৯২০ টাকা এবং ৫ লাখ টাকায় ৪ হাজার ৮০০ টাকা। এসব মুনাফা থেকে বাদ যাবে ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর। তবে পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৫ লাখ টাকার নিচে হলে মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ হবে। বিনিয়োগ এর চেয়ে বেশি হলে উৎসে কর হবে ১০ শতাংশ।
মাসিক মুনাফা নেওয়ার পর পাঁচ বছরর মেয়াদ শেষে মূল টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে মুনাফা হিসেবে নেওয়া টাকা কেটে রেখে বাকি অর্থ ফেরত দেয় সরকার। এক লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনে মেয়াদপূর্তির কত আগে তা ভাঙালে কত টাকা ফেরত পাওয়া যাবে, সেটি ঠিক করা আছে। যেমন প্রথম বছর চলাকালে এক লাখ টাকা ভাঙালে কোনো মুনাফা পাওয়া যাবে না।
তবে দ্বিতীয় বছর চলাকালে ভাঙালে মুনাফাসহ পাওয়া যাবে ১ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে তৃতীয় বছর চলাকালে ভাঙালে ১ লাখ ২০ হাজার, চতুর্থ বছর চলাকালে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ এবং পঞ্চম বছর চলাকালে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। বর্তমানে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ এবং ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পরিবার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয়পত্র কেনা যায় জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব তফসিলি ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে।
একই জায়গা থেকে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন বা ভাঙানো যায়। একজন ব্যক্তি একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকার একধরনের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারলেও পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যায় ৪৫ লাখ টাকার। তবে একজন ব্যক্তি একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।