২৩ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার, ০১:০৬ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শেয়ার বিজনেস24.কম
প্রকৃতিতে বসন্ত চললেও গরম প্রায় এসেই পড়েছে। আর এই সময় ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত স্থান সিকিম। হিমালয় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন অনেকে। তবে সিকিমে বেড়াতে গেলে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। কিছু কাজ আছে যা করা চলবে না। তাহলে পরে অনুশোচনা করতে হবে-
বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকুন
অন্যান্য জায়গার মতো সিকিমেও গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, শীত বা বসন্ত ঋতু আসে। তবে যে ঋতুতেই সেখানে বেড়াতে যান না কেন, বৃষ্টির দেখা পাবেনই। সিকিমে প্রায় সারা বছর ধরেই বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই জায়গাটিতে বেড়াতে গেলে সঙ্গে অতিরিক্ত পোশাক, একটি ছাতা বা রেইনকোট রাখতে ভুলবেন না।
সঙ্গে ওষুধ রাখুন
সিকিমে বেড়াতে গেলে অনেকটা উচ্চতায় উঠতে হয়। সেখানকার কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থলও অনেকটা উচ্চতায় অবস্থিত। পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটতে হয়। সেক্ষেত্রে গা গোলানো, বমিভাব, গায়ে ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। দেখা দিতে পারে উচ্চরক্ত চাপের সমস্যাও। তাই সিকিম ভ্রমণে গেলে সঙ্গে ওষুধ না রাখার মতো কাজটি করবেন না।
অ্যাডভেঞ্চার চাইলে
পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করাই হয় পর্যটকদের প্রধান উদ্দেশ্য। কেউবা আবার মেতে ওঠেন অ্যাডভেঞ্চারে। সিকিমে গিয়েও পাহাড়ি জঙ্গলে ট্রেক করা, জিপলাইনিং, কেবল কার রাইড, প্যারাগ্লাইডিং বা হেলিকপ্টার রাইডের মতো কাজগুলো করেন কেউ কেউ। এসব করলে শারীরিক অবস্থার কথা খেয়াল রাখুন। কারণ পাহাড়ি পরিবেশে সবার স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না।
কেবল পূর্ব ও উত্তর সিকিমেই ঘুরবেন না
রাজধানী গ্যাংটক পূর্ব সিকিমে অবস্থিত। আবার ফুলের উপত্যকা, বিশ্বের উচ্চতম হ্রদ, শীতকালে তুষারপাতসহ নানা আকর্ষণীয় জিনিসগুলির দেখা মেলে উত্তর সিকিমে। বেশিরভাগ পর্যটকই তাই পূর্ব ও উত্তর সিকিম ভ্রমণ করেন। তবে কেবল এতটুকুতেই ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখবেন না। দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমকে বাদ দিয়ে দেবেন না। পশ্চিম সিকিমের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। আর দক্ষিণ সিকিমে গেলে পাবেন রাজ্যের একমাত্র চা বাগান এবং অসংখ্য হ্রদের দেখা।
স্থানীয়দের এড়িয়ে যাবেন না
সিকিমের বাসিন্দারা বেশ অতিথিপরায়ণ ও সরল হয়ে থাকে। ভ্রমণে তাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বললেই দেখবেন সবাই আপনাকে সাহায্য করার জন্য তৈরি হয়ে রয়েছেন। রেস্তোরাঁয় যান বা ক্যাফেতে, সবাই আপনাকে স্বাগত জানাবেন হাসিমুখে। তাই সিকিমে গেলে স্থানীয়দের এড়িয়ে যাবেন না।
কেবল মোমো খেয়েই থাকবেন না যেন
সিকিমের মোমো অত্যন্ত সুস্বাদু। তাই বলে কেবল মোমো খেয়েই পেট ভরাবেন না। সিকিমের অন্যান্য খাবারও বেশ সুস্বাদু। এখানকার রান্নার মধ্যে ভুটান, নেপাল, চিন এবং তিব্বতের রান্নার প্রভাব স্পষ্ট। এছাড়াও সেখানকার তিনটি প্রাধন উপজাতি, ভুটিয়া, লেপচা এবং নেপালি রান্নার প্রভাবও রয়েছে যথেষ্ট। এখানকার কিছু সুস্বাদু খাবার হলো নেওয়ারি, থাকালি, থুকপা, শ্যাফালে এবং লাফিং। সেগুলোও চেখে দেখুন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।