facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৫

Walton

সেশনজটের কবলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ লাখ শিক্ষার্থী


১৭ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার, ১০:০৯  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


সেশনজটের কবলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ লাখ শিক্ষার্থী

একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সবচেয়ে বড় সংকট ছিল সেশনজট। চার বছরের স্নাতক শেষ করতে পার হতো ৬ থেকে ৭ বছরও। ২০১৫ সালের পরবর্তী সময়ে সেই সেশনজট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে ২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর আবারও সেশনজটে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থীকে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের এপ্রিল পার হলেও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার তারিখ এখন পর্যন্ত ঘোষণা হয়নি। এছাড়া, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষাও এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। এর ফলে সেশনজটের কবলে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থীর।

তথ্যমতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ডিগ্রি পাস ও অনার্স মিলিয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন ছিল মোট ১৯ লাখ ১৪ হাজার। আর ২০১৭ সালে এসব আসনের বিপরীতে ভর্তি হয় ছয় লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থী, ২০১৮ সালে ৬ লাখ ২৮ হাজার এবং ২০১৯ সালে প্রায় ৬ লাখ ৫২ হাজার। এই তিন সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এখন সেশনজটে পড়ছেন।

বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ফারহানা বলেন, আমার বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত পরিবারে। ইচ্ছে ছিলো পড়ালেখা শেষে চাকরি করে স্বাবলম্বী হবো। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা মেয়ের স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ালেখা চালিয়ে নিতে অনেক পারিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। আর যখন দিনের পর দিন পরীক্ষা আটকে থাকে তখন বিষয়টা আরো কঠিন হয়ে ওঠে। প্রায়ই পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের কথা শুনতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে মাঝেমধ্যেই হতাশা কাজ করে।

সাব্বির হোসেন নামে নীলফামারী সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, স্নাতক শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে হতাশার শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। দেড় বছর পর যে রুটিন প্রকাশ করলো সেখানেও তারিখ সম্ভাব্য। অথচ বাবা-মাকে এক বছর ধরে বলে আসছি আর কয়েকদিনের অপেক্ষা মাত্র। এখন তাদের সামনে যেতেও লজ্জা হয়। অন্তত পরীক্ষার সুনির্দিষ্টি তারিখ ঘোষণা করলেও স্বস্তি পেতাম।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস আক্রমণের পূর্বে আমরা সেশনজট অনেকটাই কমিয়ে এনেছিলাম, বর্তমানে যে সেশনজট সেটি করোনার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই সেশনজটও কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছি। ছুটির দিনে ক্লাস নেয়া, ক্রাশ প্রোগ্রামসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা আমরা ভেবেছিলাম। কিন্তু বিসিএস ক্যাডাররা (কলেহ শিক্ষকরা) ছুটির দিনে ক্লাস নিতে বা ক্রাশ প্রোগ্রামে যেতে রাজি হচ্ছেন না। তারা বলছেন ইতোমধ্যেই তারা অনেক পরীক্ষা নিয়েছেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: