facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর রবিবার, ২০২৪

Walton

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ কেমন হওয়া উচিৎ


১১ জুন ২০১৬ শনিবার, ১০:৪৭  এএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ কেমন হওয়া উচিৎ

বিয়ের আগে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় সকল খোঁজখবর নিয়ে থাকি আমরা, কিন্তু ভুলে যাই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সংক্রান্ত ব্যাপার টি, যা পরবর্তীতে খুব গুরুত্বপূর্ন একটি ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে সন্তানের ক্ষেত্রে। জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে জরুরী কিছু তথ্য-

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার। প্রধানত রক্তের গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}। অর্থাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে। তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve.

যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেয়া হয় তাহলে কী হবে?

যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারণত কিছু হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবে যার ফলে যদি কখনো রোগী আবার পজেটিভ ব্লাড নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এর কারণে অনেক সমস্যা হবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility।

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?


১) স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ (+) হলে, স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপও অবশ্যই পজেটিভ (+) হতে হবে
২) স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ (-) হলে, স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ (+/-) যে কোনোটা হতে পারে
৩) স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ (-) হলে, স্বামীর ব্লাডগ্রুপও অবশ্যই নেগেটিভ (-) হতে হবে

যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?
রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়।

যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারণত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপও পজেটিভ হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা পজেটিভ ভ্রুণটিকে ধারন করবে তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ ভ্রূণের ব্লাড, placental barrier ভেদ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরি করবে।

যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয়। তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরি হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেধ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন ভ্রুণের শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সঙ্গে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

বিশেষ প্রতিবেদন -এর সর্বশেষ