০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার, ০১:৩৪ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
বিবিএস জানায়, সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮.৮৭ শতাংশে ছিল। এরপর থেকেই এটি ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে। এতে গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, যা তাদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
তবে, সার্বিক মূল্যস্ফীতি তিন মাস পর এক অঙ্কে নেমেছে। বিবিএসের তথ্যমতে, জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯৪ শতাংশ হয়েছে, যা ডিসেম্বরে ছিল ১০.৮৯ শতাংশ। এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৯২ শতাংশ।
গত ছয় মাসে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, মাছ, মাংস, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ২০২৪ সালে সাধারণ মানুষ খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্যের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছে।
মূল্যস্ফীতি এক ধরনের অদৃশ্য করের মতো কাজ করে। যখন মানুষের আয় বাড়ে না, কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তখন সংসার চালাতে বাড়তি খরচ করতে হয়। অনেকেই ধারদেনা করে কিংবা খরচ কমিয়ে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ৯.৯৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি মানে হলো—গত বছরের একই সময় ১০০ টাকায় যে পণ্য কেনা যেত, এখন সেটি কিনতে ১০৯.৯৪ টাকা লাগছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ছে। বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষ খাদ্য কেনা, বাড়িভাড়া, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানো, আমদানি খরচ কমানো এবং নীতি সহায়তা দেওয়া জরুরি। তা না হলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।