১৮ লাখ শেয়ার কিনবেন এসআইবিএল উদ্যোক্তা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির (এসআইবিএল) উদ্যোক্তা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ১৮ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইর পাবলিক বা ব্লক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার কিনবেন তিনি। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৩ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৪০ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৪ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ১০০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৬ দশমিক ৩৮, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৮৮ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল এসআইবিএল শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৭ টাকা ১০ ও ১২ টাকা ৪০ পয়সা।

চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৬ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩০ জুন শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ২২ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ৯০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।

সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরেও বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।

২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা।

ব্যাংকটির সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘‌ডাবল এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফ ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।