জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যেসব জায়গায় ঐকমত্য হবে, তার ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, সেদিকে অগ্রসর হওয়া যাবে।
আলোচনা আর জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটি নতুন, স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা একটি আলোচনার মধ্য দিয়ে, ঐক্যের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। নিঃসন্দেহে আমাদের মধ্যে ঐক্য সম্ভব, এবং আমরা সফল হব।”
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সংস্কার কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়েই সংস্কার এগিয়ে নিতে হবে।
জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো স্বল্প সংস্কার প্রক্রিয়ায় একমত হয়, তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। তবে যদি বৃহত্তর সংস্কার পথ বেছে নেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন জুনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা চায় বিএনপি। তাদের এই অবস্থানের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে হেফাজতে ইসলাম।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
সংসদ সদস্যদের নিজ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা দিতে চায় না বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। অর্থবিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে—সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামী দিনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
যত বাধা আসুক না কেন, ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সাত বছর পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি সূত্রে পাওয়া পারিবারিক একটি ছবিতে বড় ছেলে তারেক রহমান, তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান ও বড় নাতনি জাইমা রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেখা গেছে।