পবিত্র মসজিদুল হারামে আজ জুমার নামাজের ইমাম ছিলেন শায়খ ড. মাহির আল-মুয়াইকিলি। ক্লান্তি অনুভব করায় দ্বিতীয় খুতবা সংক্ষিপ্ত করেন তিনি। এরপর জুমার নামাজ শুরু করলেও সুরা ফাতেহা শেষ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। 

ওমরাহ করতে আসা মুসল্লিদের পবিত্র কাবা শরিফের চত্বরে না ঘুমানোর অনুরোধ জানিয়েছে সৌদি আরব। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে এক টুইট বার্তায় এই অনুরোধ জানানো হয়। খবর গালফ নিউজের।

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মক্কার ডেপুটি গভর্নর শাহজাদা বদর বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ, দুই পবিত্র মসজিদের সেবক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে কাবার ধোয়ার অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহরম। মহরম মানে সম্মানিত, মর্যাদাপ্রাপ্ত। মুসলিম ইতিহাসে এ মাসটি বিভিন্ন কারণে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। 

হিজরি নববর্ষের শুরুতেই পবিত্র মসজিদুল হারামে পরানো হয়েছে নতুন গিলাফ। এবার সেখানে যুক্ত করা হলো নতুন মিম্বার। ১৪৪৫ হিজরির প্রথম শুক্রবার (২১ জুলাই) জুমার খুতবা নতুন এই মিম্বারেই দেওয়া হয়।

সৌদি আরবে ১৪৪৫ হিজরি সনের সূচনা লগ্ন থেকে নতুন ওমরা মৌসুম শুরু হয়েছে। নতুন ওমরা মৌসুমে সৌদি আরবে আগমনকারী ওমরাহযাত্রীদের স্বাগত জানাতে শুরু করেছে দেশটি। ১৪৪৪ হিজরির শেষ মাস জিলহজে পুরো বিশ্ব থেকে আগত হজযাত্রীরা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ পালন করেছেন।

হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে পবিত্র কাবাঘর নতুন গিলাফ দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১৪৪৫ হিজরি সন শুরু হয়। তাই সেই দিন দিবাগত রাতে পবিত্র কাবাঘরের পুরনো গিলাফ খুলে নতুন গিলাফ মোড়ানো হয়।

বাংলাদেশের আকাশে গতকাল কোথাও ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বুধবার (১৯ জুলাই) পবিত্র জিলহজ মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে পবিত্র মুহাররম মাস গণনা শুরু হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৯ জুলাই (শনিবার) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

সৌদি আরবের মসজিদে নববির ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন শায়খ আহমদ আল হুজাইফি। নিয়োগের মাত্র সাত মাসের মাথায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন। হারামাইন পরিষদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জীবন ধারণের জন্য খাবার অপরিহার্য। খাবার-দাবার ঠিক না থাকলে মানুষের শরীর ভেঙ্গে যায়, দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইবাদতে মন বসে না এবং কোন কাজে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে না। তাই পানাহার মানুষের জন্য জরুরি বিষয়। তবে খাবার অবশ্যই হালাল হতে হবে। 

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় পবিত্র ওমরাহ মৌসুম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি ও গালফ কো-অপারেশনভুক্ত (জিসিসি) দেশের নাগরিকদের মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে ওমরাহর অনুমতিপত্র দেওয়া শুরু করেছে দেশটির মন্ত্রণালয়।

হজ করতে পায়ে হেঁটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন কুমিল্লার বাসিন্দা আলিফ মাহমুদ আদিব।

কোনও মুসলমান মারা গেলে অপর মুসলমানের ওপর মৃতের গোসল, কাফন, জানাজা, জানাজা বহন ও দাফন করার অবশ্যক হয়ে যায়। কেউ মারা গেলে দ্রুতই এই কাজগুলো সম্পাদন করতে হয়। হাদিসে এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

মানুষ অনায়েসে, নিজের অবচেতনে যেসব গুনাহ করে ফেলে তার একটি হলো গিবত। ইসলামের দৃষ্টিতে গিবত বা পরনিন্দা বলা হয়, কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষ-ত্রুটি আলোচনা করা। হতে পারে দোষটি তার মধ্যে আছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় পবিত্র ওমরাহর ইলেকট্রনিক বা ই-ভিসা চালু করেছে। সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যেন আরও বেশি মুসল্লি সৌদিতে আসতে পারেন এবং ওমরাহ পালন করতে পারেন তারই অংশ হিসেবে ওমরাহর ই-ভিসা চালু করা হয়েছে।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা জিয়ারত প্রত্যেক মুমিনের স্বপ্ন এবং একান্ত আকাঙ্খার বস্তু। নবীজির রওয়া জিয়ারতের বিশেষ ফজিলতও রয়েছে। এক হাদিসে হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে আমার ওফাতের পর আমার (রওজা) জিয়ারত করল, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।’

হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে হজের ফিরতি ফ্লাইট। বিভিন্ন দেশ থেকে হজ করতে আসা লোকজন ফিরে যাচ্ছেন নিজ দেশে। এসব হাজিদের নিজ নিজ ভাষায় ২০ লাখ কপি কোরআন উপহার দিচ্ছে সৌদি আরব। খবর আরব নিউজ।

পবিত্র হজব্রত পালন শেষে দেশে ফিরছেন হাজিরা। অশ্রুসিক্ত নয়নে দেশে ফিরলেও পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনায় পড়ে থাকছে তাঁদের মন। হজ পালনে তাঁদের অর্থ ব্যয়, পরিশ্রম, দীর্ঘ সফর ও মক্কা-মদিনার প্রতি সীমাহীন ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তাঁদের খালি হাতে ফেরাবেন না। ঈমান, নিয়ত ও নিষ্ঠার কারণে যাঁদের হজ কবুল হয়েছে, আল্লাহ তাঁদের অসংখ্য পুরস্কারে পুরস্কৃত করবেন।

বিশ্বব্যাপী ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে সৌদি আরব। দেশটিতে প্রবেশে কড়াকড়ি নিয়ম জারি করা হয়। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ওই বছর মাত্র ১০ হাজার মানুষকে হজ করার সুযোগ দেয় দেশটি।

সারা বিশ্ব থেকে সৌদি আরবে সমবেত হওয়া ২০ লাখের বেশি মুসলমান হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে তাঁবুনগরি মিনা থেকে হাজির হচ্ছেন আরাফাত ময়দানে।