ঢাকা   মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

টানা সাত দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

গ্রামবাংলা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

টানা সাত দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

শীতের জেলা পঞ্চগড়ে সপ্তাহ জুড়ে ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘনকুয়াশা কমলেও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। টানা সাতদিন ধরে সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। কুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাসে দুর্ভোগে পড়ছেন সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা। পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় তেঁতুলিয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। হিমেল বাতাস থাকায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান দিন দিন কমছে। সাত দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। একই সঙ্গে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠানামা করছে ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সর্বশেষ গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলো ছড়ালে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমে আসে। কনকনে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। রাতভর বইছে হিমেল বাতাস, টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, টানা সাত দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। বর্তমানে এ এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আকাশে কুয়াশা ও মেঘের পরিমাণ কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাসে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এখন থেকে ধীরে ধীরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।

শেয়ার বিজনেস24.কম

সর্বশেষ