
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেনকে মারধরের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। রোববার (২৭ এপ্রিল) স্নাতকোত্তরের সনদ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা আকরামকে আটক করে মারধর করেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এরপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় আকরাম ও তার বন্ধুরা ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছিল। তবে আকরাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আমি প্রথম বর্ষে ছাত্রলীগের কিছু বড় ভাইয়ের মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম, তবে কোনো পদ-পদবি পাইনি এবং পরবর্তীতে আর কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। আমি বরং জুলাই আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেছি।"
ঘটনার প্রতিবাদে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কট করে বিভাগের মূল ফটকে তালা দেন। পরে তারা আকরামকে মুক্ত করতে থানায় অবস্থান নেন। বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল ফকির বলেন, "আকরাম ভাইকে অন্যায়ভাবে ট্যাগিং করে থানায় দেওয়া হয়েছে। আমরা তাকে ছাড়াতে গেলে পুলিশ জানায়, প্রক্টর বা উপাচার্যের নির্দেশ ছাড়া তাকে ছাড়া হবে না।"
আরেক শিক্ষার্থী ফরহাদ জানান, আকরাম একজন মেধাবী শিক্ষার্থী, যার গবেষণালেখাও বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। শুধুমাত্র সনদ তুলতে এসে এ ধরনের হামলার শিকার হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা বলেন, "হ্যাঁ, এখনো বিভাগে তালা দেওয়া রয়েছে।"
এদিকে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থানায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।