
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, দেশের রিজার্ভ বর্তমানে ২৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৬৩৯ কোটি ডলার) ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার ১১১ কোটি ডলার)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান রোববার এ তথ্য জানান। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা এক মাসের হিসাবে যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই অর্থের কারণে ব্যাংকগুলো উদ্বৃত্ত ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করছে, যা রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে।
এদিকে রিজার্ভ বৃদ্ধির ফলে দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ কমে এসেছে। ডলারের মূল্য বর্তমানে ১২৩ টাকা এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে, যা ডলার সংকটের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়ক। এছাড়াও, অনেক ব্যাংক এখন গ্রাহকদের চাহিদামতো ঋণপত্র খুলতে পারছে এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
২০২২ সালের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী ডলার সংকটের সময়ে ডলারের মূল্য ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৮ টাকা পৌঁছেছিল। তবে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রবাসী আয়ের বৃদ্ধি নিয়ে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
শেয়ার বিজনেস24.কম